এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এই কাজ ভোটের ফলে বুমেরাং হবে না তো ? চিন্তায় তৃণমূল নেতারা

এই কাজ ভোটের ফলে বুমেরাং হবে না তো ? চিন্তায় তৃণমূল নেতারা

এবার পথে নামল তৃণমূল না কোনো মিছিল মিটিং নয়, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নামেন। শিলিগুড়ি পৌরনিগমে তৃণমূল পরিচালিত দুই নম্বর বরোর তরফে এই উচ্ছেদ অভিযান করা হয় বলে জানা গেছে।আর নিয়েই তোলপাড় তৃণমূলের অন্দর মহল। এমনকি বিরোধীরাও সারাব এই নিয়ে।জানা গেছে এদিন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, কাউন্সিলর নান্টু পাল সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর এই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। ফুটপাতের একাংশ যেখানে অবৈধ নির্মাণ ছিল তা ভেঙে দেওয়া হয়। তাছাড়া ফুটপাত থেকে দোকানও তুলে দেওয়া হয়।এই নিয়ে কাউন্সিলর নান্টু পাল বলেন, “শহরের রাস্তা দখল করে ব্যবসা চলছিল। মানুষ হাঁটতে পারে না। বহু অভিযোগের জেরেই এই অভিযান। বারবার পৌরনিগমে বলেও লাভ হয়নি। তাই নিজেরাই বরোর তরফে অভিযান চালিয়েছি।” এই নিয়ে ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন যে ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের নেতারাই তো তাদের ফুটপাতে বসে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলে তবে এখন কেন এইভাবে উচ্ছেদ অভিযান করা হলো ?এমন উচ্ছেদ অভিযান হবে তা আগে থেকে কেন জানানো হলো না ? রাতারাতি বহু দোকান উঠিয়ে দেওয়ার ফলে যারা কর্মহীন হয়ে পড়লেন তাদের কি হবে ?অন্যদিকে অনেক প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেও। পৌরনিগমের ক্ষমতায় নেই তৃণমূল তবে এমন কাজ কেন করতে গেলো তবে কি গায়ের জোর দেখতে গিয়েই এই কাজ নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পাশাপাশি যা করা হল তা ভোটের ফলে বুমেরাং হবে না তো ? এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারাই।
এই নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, “কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। নিয়ন্ত্রিত হকারের পক্ষে আমরা। এক্ষেত্রে যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে হকার উচ্ছেদ করলেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। আমি কথা বলব ওঁদের সঙ্গে।” বিতর্ক বেড়েছে দেখে পৌরনিগমের বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার দাবি করেন, “কোথাও উচ্ছেদ করাই হয়নি। সামান্য সরিয়ে দিয়েছি ওদের। আর করজোড়ে অনুরোধ করা হয়েছে ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখতে।” এদিকে
উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে মুখ খুলেছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “কারা কেন উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে জানা নেই। আমরা বহু আগেই পুলিশকে চিঠি দিয়ে ফুটপাতে মানুষের চলাচল নিশ্চিত করতে বলেছি। তবে নীতিগতভাবে আমরা গরিবের পক্ষে। তবে এটাও ঠিক রাস্তা সম্পূর্ণ দখল করাও উচিত না। বরোর দায়িত্ব তৃণমূলের কাউন্সিলরদের। তাই এ নিয়ে যা বলার ওঁরাই বলতে পারবেন।” সব মিলিয়ে দলের অন্দরে বাইরে টানাপোড়েন ভালোই শুরু হয়েছে। আর এর জল কতদূর গড়ে তাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!