এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রচারে নেই কল্পনা, সত্য হল “294-এ আমিই প্রার্থী” কথা!

প্রচারে নেই কল্পনা, সত্য হল “294-এ আমিই প্রার্থী” কথা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী বদল করা হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাসদার বদলে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কুকে। নবাগত হিসেবে পরিচিত কল্পনা কিস্কু প্রচারে নেমে বিরোধীদের অনেকটাই বেগ দিতে ময়দানে নামবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রচার শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। যার ফলে কার্যত বাড়িতে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয় তপন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে।

দলের নেতাকর্মীরা তার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রচারের দিন শেষ হয়ে গেলেও, তাকে এখনও পর্যন্ত প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। আর আশ্চর্যের বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তপন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সমর্থনের প্রচার করতে আসলেও, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সেই সভামঞ্চে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল এই তৃণমূল প্রার্থীকে। যার ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তপন বিধানসভার লড়াইটা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই।

কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি সভা থেকেই বলেন, 294 টি কেন্দ্রে তিনি প্রার্থী। স্বাভাবিক ভাবেই তপন বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা হলেও, প্রচার প্রক্রিয়ার প্রথম দিন থেকেই যেভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না এই তৃণমূল প্রার্থীকে, তাতে এই আসনে জয়লাভ করাতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রধান ভরসা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে, তা বলাই যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার কোনো প্রার্থীর হয়ে ময়দানে নামলে সেই প্রার্থীর জয় লাভ নিশ্চিত। 2011 সাল থেকে শুরু করে 2016 সাল, প্রতিবার নির্বাচনের ময়দানে মানুষ যাতে তাকে দেখে ভোট দেয়, তার জন্য আবেদন করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে যখন প্রার্থী নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তখন প্রতিটা নির্বাচনী সভায় গিয়ে তাকে দেখে যাতে সকলে ভোট দেন, তার জন্য আবেদনের সুর শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।

কিন্তু প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় সেভাবে তপন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে প্রচারে দেখা যায়নি। দলের নেতাকর্মীরাই তার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করতে শুরু করেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীদের মধ্যে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রার্থী ময়দানে নেই, কারণ তিনি পরাজিত হবেন বুঝে গিয়েছেন, তাই তাকে ময়দানে নামানো হচ্ছে না বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন একাংশ। তবে এবার সরাসরি তপন বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে হাল ধরলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ক্ষেত্রে তার “294 আসনে আমিই প্রার্থী” এই কথা আরও একবার প্রাসঙ্গিকতা পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় তিনি জয়লাভ করবেন কি করবেন না, সেটা পরের ব্যাপার। কিন্তু তপন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।

এক্ষেত্রে যদি তপন বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র দখল করতে সক্ষম হন, তাহলে প্রমাণিত হয়ে যাবে তৃণমূল নেত্রীর একাই একশোর তত্ত্ব। আর যদি তা না হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতায় যে বড়সড় ফাটল দেখা দেবে, তা বলাই যায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তপন বিধানসভা কেন্দ্রে।

কার্যত নজিরবিহীনভাবে নাম ঘোষণার পরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি তো দূরের কথা, কোনো প্রচারই অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না কল্পনা কিস্কুকে। তবে শেষ মুহূর্তে তার হয়ে তপন বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলীয় প্রার্থীর বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তপনের মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করেন, নাকি ফুটিয়ে দেন পদ্মফুল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!