এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডিএ নিয়ে ৩ মামলায় ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের? জেনে নিন সর্বশেষ অবস্থা

ডিএ নিয়ে ৩ মামলায় ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের? জেনে নিন সর্বশেষ অবস্থা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমান ডিএ বকেয়া থাকায় এবং রাজ্য সরকার এই ডিএকে দয়ার দান প্রতিপন্ন করতে চাওয়ায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায়, প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – ডিএ কোনোমতেই রাজ্য সরকারের দয়ার দান নয়, তা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই মামলার রেশ টেনেই পরবর্তীকালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাট আরও বড় রায় দেয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে।

স্যাটের সেই রায়ে স্পষ্ট বলা হয়, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে, ২০০৬ থেকে সমস্ত বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়, রাজ্য সরকারকে এই সিদ্ধান্ত রায়ের দিন থেকে শুরু করে আগামী ১ বছর বা নতুন পে-কমিশন চালুর (যেটি আগে ঘটবে) কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে, ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার কিভাবে এই বকেয়া মেটাতে চলেছে, তা রায়ের দিন থেকে ৩ মাসের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে রাজ্য সরকার নতুন পে-কমিশন ঘোষণা করে দিলেও, ডিএ নিয়ে এখনও কিছু জানায় নি।

অন্যদিকে, স্যাটের রায় অনুযায়ী তিন মাস পেরিয়ে গেলেও, এখনও রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে – তা স্পষ্ট করে নি। তাই, সবদিক বিবেচনা করে দুটি সংগঠন ইউনিটি ফোরাম ও কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ আলাদা আলাদা ভাবে – রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে। দুটি মামলারই লিস্টিং হওয়ার পর, আজ প্রথম শুনানি ছিল। দুটি মামলার ক্ষেত্রেই স্যাট জানিয়ে দিয়েছে, মামলা গৃহীত হয়েছে এবং আগামী ৯ ই ডিসেম্বর তার শুনানি হবে।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল, এই ডিএ সংক্রান্ত একটি রিভিউ পিটিশন করেন। সেই মামলা টেকনিক্যাল কারণে আপাতত গৃহীত হয় নি। রাজ্য সরকারকে সেই টেকনিক্যাল ত্রুটি ঠিক করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে। যদি রাজ্য সরকারের তরফে তা করা না হয়, তাহলে এই মামলা খারিজ হয়ে যাবে। যদিও ইউনিটি ফোরামের আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল কারণেই রাজ্য সরকারের এই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রবীরবাবু আরও জানিয়েছেন, কিন্তু স্যাট রাজ্য সরকারকে আরও একটা সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু, তাতে কোনো অসুবিধা নেই, আমরা এই মামলার নথি হাতে পেলেই আমাদের ‘অবজেকশন’ ও অন্যান্য নথি জমা করে দেব। ফলে, সব মিলিয়ে ডিএ নিয়ে তিন-তিনটি মামলায় ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এদিকে ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার জানিয়েছেন, এর আগে ডিএ মামলা ইউনিটি ফোরাম ও কনফেডারেশন একত্রে লড়েছিল। কিন্তু, এবার বিশেষ কারণে আমরা পৃথকভাবে মামলা লড়তে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে যেমন নৈতিক জয় এনে দিয়েছি, তেমনই সরকারের কাছ থেকে ডিএ আদায় করে তাঁদের হাতে তুলে দেবই।

দেবপ্রসাদবাবুর আরও বক্তব্য, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, এতদিন ধরে কনফেডারেশনের মলয়বাবুরা এমন ভাব করতেন, যেন ডিএ মামলায় ওনারাই সব করছেন বা অন্য কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু আসল সত্য হল – ডিএ মামলায় সমস্ত সংগঠন ও তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছে বলে এই সাফল্য এসেছে। সেই সূত্র ধরেই ইউনিটি ফোরামকে চূড়ান্ত অপমান করা হয়, বলেই আজ আমরা পৃথকভাবে মামলা লড়তে বাধ্য হচ্ছি।

দেবপ্রসাদবাবু আজ স্পষ্ট জানান, তবে, এই মামলা ইউনিটি ফোরাম একা লড়ছে না – আশা, নবপর্যায়, ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, সেলস ট্যাক্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য সংগঠনের আন্তরিক সাহায্যও এখানে অনস্বীকার্য। আগামীদিনে সবার সাহচর্যেই, আমরা অতীত দিনের মতোই, এই মামলাতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জয়ী হব। আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের হকের পাওনা ডিএ তাদের হাতে তুলে দিতে পারব বলেই আশা রাখি। সবাই মিলে এক হয়ে যদি আগেও রাজ্য সরকারকে হারাতে পারি, তাহলে এই মামলাতেও আমাদের ঐক্যই আমাদের আবারো জয়ী করবে – এই বিশ্বাস রাখি।

ডিএ নিয়ে ইউনিটি ফোরামের আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জির বক্তব্য একনজরে –

https://www.youtube.com/watch?v=ts3DcnsxVG0

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!