এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুরনো সৈনিকদের ফিরিয়ে নিতে শহীদ দিবসেই কি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মমতা? গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে!

পুরনো সৈনিকদের ফিরিয়ে নিতে শহীদ দিবসেই কি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মমতা? গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে অনেকেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হয়েছিলেন। কেউ টিকিট না পেয়ে, আবার কেউ বা দলে থাকা যাচ্ছে না, এইরকম অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরের পতাকাতলে নিজেদেরকে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই যে শুধুমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, সেটা ভেবেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কেননা তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সেই সমস্ত নেতা, নেত্রীরা আবার তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও বা তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এখনও পর্যন্ত যারা বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আবার ফিরে আসার আবেদন করেছেন, তাদেরকে দলে গ্রহণ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। তবে একুশে জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল সমাবেশের মঞ্চ থেকে এই ব্যাপারে দরজা খুলে দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কি অবশেষে প্রতীক্ষার দিন শেষ? বিজেপিতে কোনোরকমে মানিয়ে নেওয়া নেতারা এবার কি তাদের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে আবার ফেরার সুযোগ পাবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ তার নতুন সন্ধান দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে এবারেও ভার্চুয়াল ভাবে পালিত হবে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস। আর সেখানেই ভোটের আগে যারা বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিলেন এবং নির্বাচনের পরে আবার তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাদের ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে সোনালী গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাস, অমল আচার্য্য থেকে শুরু করে বাচ্চু হাঁসদার মত একগুচ্ছ নাম সামনে এসেছে। কেননা তারা ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর কাছে চিঠি লিখে আবেদন করেছেন, যাতে তাদেরকে দলের সাথে যুক্ত করা হয়। কিন্তু ভোটের আগে যারা দলকে বিপাকে ফেলে প্রতিপক্ষ শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তাদেরকে গদ্দার এবং মীরজাফর বলেই আখ্যা দিতে শুরু করেছে তৃণমূলের নীচুতলা থেকে শুরু করে উপরতলার একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

তাই এই ব্যাপারে এতদিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকি বিজেপি নেতা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার পর নির্বাচনের আগে যারা কঠোর ভাবে দলের বিরোধিতা করেছেন, তাদেরকে যে দল গ্রহণ করবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে নরমপন্থী নেতাদেরকেই যে গ্রহণ করা হবে, মুকুল রায়ের যোগদান পর্বের দিন তাও স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি থেকে যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চাইছেন, তাদের ব্যাপারে পাকাপাকিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তা একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেবেন, তা পরের ব্যাপার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে চাওয়া নেতাদের তালিকা দীর্ঘ হলেও, সেই ব্যাপারে তৃণমূলের একাংশের যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। অনেকেই বলছেন, কষ্ট করে দলকে জয়লাভ করানোর জন্য যখন সকলে পরিশ্রম করছেন, তখন এই সমস্ত নেতারা দলকে বিপাকে ফেলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তাই তারা সব সময় দলের শত্রু। সেদিক থেকে তাদেরকে কোনোমতেই দলে গ্রহণ করা উচিত নয়। তবে অনেকে আবার বলছেন, দলের হিতের কথা চিন্তা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাকেই সকলে মেনে নেবেন।

এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে দলীয় কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করে। তাই তৃণমূল নেত্রীর ওপর সকলের ভরসা রাখা উচিত। তবে একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে তাদেরকে দলে গ্রহণ করার ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রী’ বড় কোনো ঘোষণা করতে পারেন বলে আশা তৈরি হয়েছে বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের আসতে চেয়ে পা বাড়ানো নেতা-নেত্রীদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, ভার্চুয়াল শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে এই ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কিনা তৃণমূল নেত্রী, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!