এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কন্টেনমেন্টেও মানা হচ্ছে না প্রায় কোনো বিধিই! এই লকডাউনের মানে কি? প্রশ্ন আতঙ্কিত আমজনতার!

কন্টেনমেন্টেও মানা হচ্ছে না প্রায় কোনো বিধিই! এই লকডাউনের মানে কি? প্রশ্ন আতঙ্কিত আমজনতার!


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত অনেক আগেই গ্রহণ করেছে সরকার‌। সেই মত সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে মানুষজনকে যত সম্ভব কম বাড়ি থেকে বেরোনোর ব্যাপারে বলা হচ্ছে। তবে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হওয়ার পরে বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক‌ ছন্দে মানুষকে দোকান বাজার করতে দেখা গেছে। যা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেই সাধারণ মানুষের মধ্যেই।

যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া লকডাউন করা হচ্ছে, মানুষকে বলা হচ্ছে বাইরে বেরোবেন না, সেখানে মানুষ সেই নির্দেশ অমান্য করে এভাবে সাধারণ দিনের মতো দোকান বাজার করতে শুরু করেন, তাহলে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেই দাবি একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে আদৌ লকডাউন করে লাভের লাভ কিছু হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, যে সমস্ত জায়গায় বেশি করো না সংক্রমণ, সেই জায়গাগুলোকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে নির্ধারণ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা না থাকায়, আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে। যেমন, উত্তর কলকাতার নলিন সরকার স্ট্রীট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, প্রায় সমস্ত কিছুই খোলা। স্বাভাবিক নিয়মেই কেনাবেচা চলছে। কেন এমনটা হচ্ছে? কেন তাদের মধ্যে সচেতনতা নেই? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী তপন ভৌমিক বলেন, “রোজগার দুমাস ধরে বন্ধ। আর কতদিন দোকান বন্ধ রাখব! তাই কনটেইনমেন্ট জোন জেনেও দোকান খুলেছি। তবে দুপুরের মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যদিকে এই ব্যাপারে এক মিষ্টির দোকানদার বলেন, “এবার না খেয়ে মারা যাব। তার থেকে দোকান খুলে সংসার বাঁচানোর চেষ্টা করছি।”

একই ভাবে উত্তর কলকাতার কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে পরিচিত শোভাবাজারের বেশ কিছু দোকানও খুলতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের ভিড় অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই। দূরত্ব বিধি না থাকায় এক দোকানদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দুমাস পরে দোকান খুললাম। তবে পুলিশ বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেব।” আর এই সমস্ত দেখেই সাধারণ মানুষের একাংশ ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন। অনেকে বলছেন, কিছু মানুষ এই করোনা ভাইরাসকে পাত্তা না দিয়ে সরকারের নির্দেশকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হচ্ছেন। তাহলে এত ঘটা করে লকডাউন পালন করায় লাভটা কি?

সরকার লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে সাধারন মানুষ যাতে সংক্রমণ থেকে বাঁচেন। কিন্তু মানুষ যেভাবে দোকান, বাজার করার জন্য রাস্তায় বের হচ্ছেন এবং সামাজিক দূরত্বকে অমান্য করছেন, তাতে সংক্রমন ছড়াতে হতে বেশি সময় লাগবে না বলে অভিযোগ একাংশের। যেদিন এই প্রসঙ্গে দীপঙ্কর গুপ্ত নামে এক বাসিন্দা বলেন, “লকডাউন এখনও চলছে নাকি? দেখে মনে হচ্ছে!” সত্যিই তো তাই তাহলে সত্যিই তো তাই! সরকারের পক্ষ থেকে কনটেইনমেন্ট জোন চালু করে তাহলে লাভটা কি হল! যেভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও স্বাভাবিক নিয়মে দোকান বাজার চলছে, তাহলে তো সংক্রমণ আরও বাড়বে!

এদিন এই প্রসঙ্গে লালবাজারের এক পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কনটেইনমেন্ট জোন যাতে লকডাউন কঠোরভাবে বলবৎ করা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সব থানার ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।” কিন্তু পুলিশের নির্দেশ সত্বেও যেভাবে বহাল তবিয়তে দোকানপাট চলছে এবং সামাজিক দূরত্ব পালন করা হচ্ছে না, তাতে বাংলার কপালে এই করোনা ভাইরাসকে নিয়ে শনি নাচতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন সবদিক গুরুত্ব দিয়ে কনটেইনমেন্ট জোনগুলোতে পুরোপুরি ভাবে পালন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!