এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > রাজ্যপালকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যের বড় পদক্ষেপ! ‘বাংলায় মাৎসন্যায় চলছে’ তীব্র তোপ বিজেপির!

রাজ্যপালকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যের বড় পদক্ষেপ! ‘বাংলায় মাৎসন্যায় চলছে’ তীব্র তোপ বিজেপির!


সম্প্রতি রাজ্যকে না জানিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যার পরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কোনোমতেই এই সিদ্ধান্ত মানা হবে না বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করার পর রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। অনেকেই আশংকা করেন, এবার হয়ত নতুন করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তরজা প্রত্যক্ষ করবে গোটা বঙ্গবাসী।

আর এবার নিজেদের কথা মতই রাজ্যপালের তরফ থেকে নিয়োগ করা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদ থেকে গৌতম চন্দ্রকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। যেখানে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডঃ আশীষ কুমার পানিগ্রাহীকে এই পদের দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। আর খোদ রাজ্যপালের নিয়োগ করা ব্যক্তিকে সরিয়ে দিয়ে যেভাবে সরকার সহ-উপাচার্য পদে আরেকজনকে নিয়োগ করল, তাতে আচার্যের নির্দেশ অমান্য করায় এখন পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার যে নাম দিয়েছিল তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার প্রধান গৌতম চন্দ্রকে সহ উপাচার্য নিয়োগ করেন। কিন্তু এদিন রাজ্যপালের মনোনীত ব্যক্তিকে সরিয়ে আশীষ কুমার পানিগ্রাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন।” এদিকে দায়িত্ব পেয়েও, যেভাবে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, এদিন এই প্রসঙ্গে গৌতম চন্দ্র বলেন, “রাজ্যপাল নিশ্চিত সার্টিফিকেট দেখেই আমার নাম দিয়েছিলেন। তবে আশিসবাবুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো।”

আর রাজ্যপাল গৌতমবাবুকে নিয়োগ করার পর যেভাবে আবার সরকারের তরফে নতুন নাম আসল এবং গৌতমবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হল, সেই ব্যাপারে কি বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? এদিন এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা বলেন, “উপাচার্য হিসেবে ডক্টর আশিস কুমার পানিগ্রাহী এদিন নিযুক্ত হয়েছেন।” এদিকে রাজ্যপালের তরফ থেকে একটি নিয়োগ করা হলেও, কেন তাকে এভাবে খারিজ করে দিল রাজ্য সরকার এবং তাদের মত করে নিয়োগ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “বাংলায় মাৎসন্যায় চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূলের দলদাসকে শিক্ষা প্রশাসনে বসাচ্ছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে এবার রাজ্যপাল আচার্য হিসেবে যদি মুখ খোলা শুরু করেন, তাহলে আরও বিপত্তি হতে পারে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, কি অবস্থা হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!