এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জলে ম্যাজিক, জল খেয়ে রোগা হোন, জেনে নিন বিস্তারিত

জলে ম্যাজিক, জল খেয়ে রোগা হোন, জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় বলে জলই জীবন। জল আমাদের বেঁচে থাকার রসদ। জলে আছে মিনারেলস, যা আমাদের প্রতিদিন যোগায় সুস্থতার লক্ষণ। আর সেই জলকেই অবহেলা! আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই কিন্তু আছেন যারা জল দেখলেই পালাই পালাই করেন। তেষ্টা পেলে চা কফিতেই বেশিরভাগ সময় জলের প্রয়োজন মিটিয়ে নেন। তবে বিজ্ঞানের মতে, সুস্থ থাকতে গেলে আমাদের অন্তত দিনে ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। বেশি কাজ করলে বা গরমকাল হলে তো আরো বেশি। তবে সেকথা শোনার লোক কোথায়।

তবে ওজন নিয়ে আজকাল মানুষ অনেক বেশি সচেতন। সেইসঙ্গে লকডাউনে বাড়িতে বসে বসে অনেকেই ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন অনেকখানি। তাই সেই ওজন কমাতে এক্সেসাইজ বা যোগের পেছনেও কসরত করতে হয় অনেককে। তবে এখানে যদি বলা হয়, যে স্রেফ জল খেয়েই কমিয়ে ফেলা যায় অনেকখানি ওজন, তাহলে নিশ্চয়ই এখানে জল খাবার কথা ভেবে দেখবেন অনেকেই। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যে জল খেয়ে বছরে প্রায় ১২ কেজি পর্যন্ত ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে অবশ্যই সেই হতে হবে ঈষদুষ্ণ। কখনোই সে জল ঠান্ডা হলে চলবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কোল ড্রিংস থেকে শুরু করে detox ওয়াটার, মানুষের ঝোঁক অনেক বেশি ঠান্ডা জলের দিকে। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে এসে ফ্রিজ খুলে বেশ অনেকটা পরিমাণ ঠান্ডা জল গলায় ঢেলে নিতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের ওয়াটার থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের পানীয়, সাধারণত মানুষ খেয়ে থাকেন ঠান্ডা করেই। আর এখানেই ডাক্তাররা বলছেন লুকিয়ে রয়েছে আসল কারণ। ঈষদুষ্ণ জল শরীরের উপকার করলেও ঠান্ডা জলে রয়েছে মারাত্মক পরিমাণে মানুষের শরীরের ক্ষতি করার প্রবনতা। তাই সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা জল খেলে হজম শক্তি কমা থেকে শুরু করে শরীরে মেদ জমার মতো অনেক সমস্যা দেখা যায় বলে মনে করা হয়।

এক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা জলে যেহেতু হজম শক্তির হ্রাস পায় তাই ঠান্ডা জল খেলে বদহজম হতে পারে, আবার সরাসরি পরিপাক না হওয়ার ফলে যেখানে একদিকে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়, সেরকম ভাবে শরীরের অনেক শক্তি ক্ষয়, অপুষ্টি এই সমস্ত কিছুই আসে সেই ঠান্ডা জল খাবার কারণে। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি পাল্টে ফেলা যায় ঠান্ডা জলকে গরম জলের সঙ্গে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গরম জল মানুষের দেহে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়, মানুষের শরীরে অক্সিজেনের সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং খাবারকে দূর পরিপাক করতেও সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে কোন রকম ভাবেই চর্বি জমে যাওয়া অথবা শরীরের স্থূলতা আসা, হজমের সমস্যা হওয়া, অপুষ্টি এরকম কোন সমস্যা হতে দেখা যায় না।

শুধু তাই নয়, পরিপাকজাত হরমোনগুলোকেও উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে এই গরম জল। লক্ষ্য করে দেখলে দেখা যাবে, ছোটবেলা থেকে আমাদেরকে সাধারণত গরম খাবার খেতে বলা হয়। এর কারণ হচ্ছে গরম খাবার খেলে খাবারের ঈষদুষ্ণ গরম ভাবটা মুখের মধ্যে পাচক রসকে ভালো করে নির্গত হতে সাহায্য করে, তেমনি সেই গরম খাবার খাওয়া হজম শক্তি বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। আর এর ফলেই শরীরে বদহজম হয় না এবং শরীরের স্থূলতা বা মেদ জমতে পারে না। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে জলকে অবশ্যই ঈষদুষ্ণ হতে হবে। কখনোই বেশি গরম জল খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর ফলে কনস্টিপেশনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া নানা রকম রোগ দেখা যেতে পারে। তবে যাদের লিভারের বা আলসার জনিত সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাই আর ফ্রিজের জল না খেয়ে সুস্থ থাকতে এবং সুন্দর শরীর পেতে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করতে পারেন ঈষদুষ্ণ গরম জল, আর দেখতে পারেন ম্যাজিক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!