এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এমাসেই রদবদল সম্পূর্ণ করে সংগঠনে ঝাকুনি দিয়ে বিধানসভার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল শিবির?

এমাসেই রদবদল সম্পূর্ণ করে সংগঠনে ঝাকুনি দিয়ে বিধানসভার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ পড়ে এখন সংগঠনকে শক্তিশালী করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জেলায় জেলা সভাপতি পদে যেমন পরিবর্তন করা হয়েছে, ঠিক তেমনই এবার নজর দেওয়া হচ্ছে ব্লক স্তরের সংগঠনে। জানা গেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন জেলার নেতাদের পদের ক্ষেত্রে অদল বদল নিয়ে আসতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে, ঠিক তেমনই এবার ব্লক স্তরের নেতা পরিবর্তন করতে চলেছে শাসক দল।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। যেখানে বিভিন্ন ব্লকে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে 21 টি ব্লক এবং 7 টি শহরের মধ্যে আটটি ব্লক এবং তিনটি শহরে সভাপতি বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এখন ব্লক স্তরের সংগঠন পরিবর্তনে জোর দিলেও, কারা নতুন জায়গা পাবে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে দলে আবার নতুন করে সমস্যা তৈরি হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বৃহস্পতিবার সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি। বিস্তৃতভাবে সাংগঠনিক পর্যালোচনা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দল যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেগুলো আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করছি। ব্লক, অঞ্চল, বুথ কমিটি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখনই কিছু বলছি না। খুব দ্রুত বুঝতে পারবেন এবং কিভাবে তৈরি হচ্ছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সংগঠনে পুরোমাত্রায় বদল ঘটিয়ে তৃণমূল এখন নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে। কেননা লোকসভা নির্বাচনেই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের তীব্র উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি এরপর ঘোষিত ভাবেই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভায় ক্ষমতা দখল তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এই অবস্থায় আগামী নির্বাচন বেশ কঠিন হতে চলেছে শাসকদলের কাছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই, একদিকে নবীন-প্রবীণের সামঞ্জস্য এবং অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকে তৃণমূল কতটা শৃংখলাবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!