প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাম্প্রতিককালে বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের কথা প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কার্যত বাবুলের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণ কি, তার অনুসন্ধানে লেগে পড়েন সবাই। পাশাপাশি একের পর এক প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে বিভিন্ন জনের। অনুমানের উপর ভিত্তি করে একেক জন একেক রকম কথা বলেন। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। প্রশ্ন ওঠে, মন্ত্রীত্ব চলে গেছে বলে কি তিনি রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন? পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠে বাবুলকে কেন মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে?

আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবার সংবাদমাধ্যমে জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কার্যত গতমাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদলের হাত ধরে বাবুলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে বাবুল জানিয়েছেন, রাজনীতিতে বিজেপির কাছে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই তিনি এবার অবসর গ্রহণ করছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই কথার মাধ্যমে প্রচ্ছন্ন অভিমান লুকিয়ে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কার্যত বাবুল আরো জানান, একটা সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবুল সুপ্রিয়কে চেয়েছিলেন। তাই তিনি তৈরি ছিলেন কাজ করতে। কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাই তিনি এবার অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

অন্যদিকে দলের সঙ্গে তাঁর তৈরি হওয়া দূরত্ব নিয়ে এদিন স্পষ্টভাবে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, দিলীপ ঘোষ যেভাবে হাফ প্যান্ট, রগড়ে দেবো মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেছিলেন। একই সাথে শীতলকুচি সংক্রান্ত বিতর্কিত মন্তব্যেরও তিনি প্রতিবাদ করেছেন। এদিন বাবুল জানান, বিজেপির মঞ্চে যখন একাধিক বড় শিল্পী উপস্থিত রয়েছেন, তখন শিল্পীদেরকে উল্লেখ করে এভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করা যায়না। তাই তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন প্রকাশ্যেই। আর সে কারণেই তাঁর মন্ত্রিত্ব গিয়েছে বলে বাবুল এদিন অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে রাজনীতি ছাড়লেও বাবুল সুপ্রীয় বিজেপি ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। একই সাথে বাবুল জানান, তিনি দলীয় নেতৃত্বকে যা বলার বলেছেন। তবে তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি করেছেন, তাই বিজেপি ছাড়ার কথা তিনি ভাবতে পারছেন না। পাশাপাশি বাবুল অন্য কোন দলে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়েও কোনো কথা শোনা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতিতে নিশ্চিত বলে কোন কিছু নেই। তাই যেকোন মুহূর্তে যে কোনো ঘটনা অত্যাশ্চর্য ভূমিকা নিয়ে সামনে আসতে পারে ।