প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পরে এই বাংলার প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশি মানুষ। তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অপদার্থতা এবং কর্মসংস্কৃতি না থাকার কারণেই বাংলার যুবকরা কাজ করতে বাইরে যাচ্ছে এবং সেই কারণেই তারা আজকে এই ভয়াবহ অবস্থার শিকার হয়েছেন বলে কটাক্ষ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তবে রাজ্য অবশ্য সেই বক্তব্যতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে আরও চাপে ফেলে পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে ভয়াবহ তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বাবুর দাবি, 2011 সালে রাজ্যে যে পরিমাণ পরিযায়ী শ্রমিক ছিল, করোনার সময় তা নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এখন তার সংখ্যা আরও বেড়েছে। রেল দুর্ঘটনাতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, এই বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত!

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যারা ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে 80 শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। 2011 সালে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল 5 লক্ষ, করোনার সময় তা বেড়ে 9 গুণ দাঁড়িয়েছে। 45 লক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছিল।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন এই রাজ্যে কর্মসংস্কৃতি নেই, বাংলায় চাকরি নেই, সেই কারণেই বেকার যুবক-যুবতীদের অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় চাকরির অভাব থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকার এমনিতেই চাপে পড়েছে। তবে ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে যখন কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তার সরকারের দুর্দশা সামনে চলে এসেছে বলে এই দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা, তাতে রাজ্য আরও বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতার এই দাবিকে কিভাবে খন্ডন করে রাজ্য, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।