এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরা – কতটা ফায়দা বিজেপির? কতটা ক্ষতি তৃণমূলের?

রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরা – কতটা ফায়দা বিজেপির? কতটা ক্ষতি তৃণমূলের?


গত 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই ঘটনার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে পড়েন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এজেন্সি লাগিয়ে তাদের হেনস্তা করছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলো। আর এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে সেই অভিযোগকেই আরও মেলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী।

এদিকে রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের শীর্ষ পুলিস কর্তার প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির এহেন চাপে ঠিক কোন দল ফায়দা তুলবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল চর্চা।

আর নির্বাচনের আগে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের এই সংঘাত ভোটবাক্সে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। তবে সেই প্রভাব কার জন্য কতটা সুবিধা নিয়ে আসবে এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের আঙ্গিকে প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের দাবি, বেছে বেছে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভাবমূর্তি খারাপ করতে বিজেপির পক্ষ থেকে এজেন্সি লাগিয়ে রাজ্যের পুলিশকর্তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির দাবি, নির্বাচনের আগে নয়, সময়ানুযায়ীই সারদা কাণ্ডের তদন্তের জন্য এই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জেরা করছে সিবিআই। আর এর মধ্যে কোনো প্রশ্ন ওঠার বিষয়ই নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও এই নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে রাজ্যে বিজেপির পাল্লা ভারী বলেই মত রাজনৈতিকমহলের একাংশের। কেননা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ প্রতারিত আমানতকারীরা। তাদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্ত আটকাচ্ছেন। আর এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ধর্ণা চলাকালীন তারা রাজপথে মিছিল ও করেছেন তাদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী তো আমাদের দাবি আদায়ে কখনোই এইভাবে ধারণায় বসেন নি। তাহলে আজ তদন্তে ডাকা রাজীব কুমারকে কেন আটকাচ্ছেন?রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, এর ফলে লাভবান হবে বিজেপি।এই ক্ষুব্ধ আমানতকারীদের ভোট বিজেপির বাক্সে পড়বে।আর সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ক্ষতিই হলো কেননা আমানত কারীদের সংখ্যাটাও এমন কিছু কম নয় বলে মত তাদের।

অন্যদিকে আর একাংশের মতে, রাজ্যের না হলেও দেশে এর ফলে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কেননা জাতীয় মিডিয়া থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় নেতা নেত্রীরা তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন এবং তাদের করা অভিযোগ (বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে) অনুযায়ী তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিয়ে বিজেপিকে ২০১৯ সে কেন্দ্র থেকে হটাতে সব প্রকার সাহায্য করতে বদ্ধ পরিকর। আর রাজ্যেও তার প্রভাব পরবে বৈকি।

তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের এই সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার মূল কারণ হিসেবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরার ঘটনায় ভোটবাক্সে ঠিক কোন সমীকরণ ফুটে ওঠে তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!