প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যে যাই বলুন না কেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর যে লড়াই করছেন, তা অনেকেই করতে পারেননি। একেবারে এই রাজ্যের শাসক দলকে রাজনৈতিকভাবে টাইট দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এবার পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা। আর তার প্রতি যেভাবে মানুষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারী যে পরিবর্তনের মুখ হয়ে উঠছেন এই রাজ্যে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল দলের নেতা নেত্রীদের আক্রমণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। আর আজকে নিজের খাসতালুকে নন্দীগ্রামে প্রচার করতে গিয়ে রাজ্যজুড়ে তাকে যে প্রচারের সময় দিতে হবে, সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় আরও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফল করানোর ক্ষেত্রে তার ওপর একটা গুরু দায়িত্ব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এদিন নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনারা নন্দীগ্রামটা দেখে নেবেন তো? আপনারা যদি নন্দীগ্রাম দেখে নেন, তাহলে আমাকে একটু গোটা রাজ্য জুড়ে ঘুরতে দেন।” আর সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারীর সেই কথায় সায় দেন বিজেপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনসাধারণ। অর্থাৎ শুভেন্দুবাবুর এই ছোট্ট বক্তব্য কিন্তু অনেক কিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে। একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি রাজ্যে পরিবর্তন আনতে ভরসা করছেন শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতার ওপরেই। কারণ তিনি প্রতিবাদী এবং রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ নেতা। তার হাত ধরেই যে রাজ্যে পরিবর্তন আসতে পারে, এটা খুব ভালো করেই বুঝেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

সেই কারণেই গোটা রাজ্য জুড়ে তাকে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির পক্ষে ঝড় তোলার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যে পশ্চিমবঙ্গে প্রধান মুখ, তা আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল। আর বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্য অত্যন্ত উজ্জীবিত করছে তার অনুগামী থেকে শুরু করে বিজেপির প্রতিবাদী নেতা কর্মীদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।