রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিত? জল্পনা তীব্র! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলের সিলেট শহরের বিশিষ্ট জন এদের মধ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা অন্যতম ব্যাক্তি তিনি। বড় সাহস নিয়ে 2011 সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটের লড়াই করে জয়লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। পরবর্তীতে আবার 2016 সালে দল টিকিট দিলে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের সেই দুর্দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কি দলে থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিতে চাইছেন? শুভেন্দু অধিকারী থেকেই বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট তরতাজা নেতারা এখন গেরুয়া শিবিরে। এদিকে নেতাদের পথেই পা বাড়াতে শুরু করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতারা। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এবার রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে বারাসাত বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এই চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু সেই তিনি এবার সুর বদলাতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই হেভিওয়েট এই তৃণমূল বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না। তবে মুখে তিনি যতই এই কথা বলুন, ভবিষ্যতে তিনি রাজনীতি ছাড়লেও যে অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না, এই ব্যাপারে নিশ্চিত নয় কেউ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃনমূলের অবস্থা এখন খুব একটা ভালো নয়। দলের ভাঙ্গন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনের সঙ্গীরা যোগ দিতে শুরু করেছেন বিরোধী শিবিরে। সেদিক থেকে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মত জনপ্রিয় অভিনেতা তথা তৃণমূলের বিধায়ক এবার যদি রাজনীতি ছেড়ে দেন, তাহলে তা যে শাসকদলের কাছে যথেষ্ট চিন্তার কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা এরকম অনেকেই আছেন, যারা প্রথমে রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেও, পরবর্তীতে দলের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে যোগ দিয়েছেন পদ্মফুল শিবিরে। সেদিক থেকে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সাময়িকভাবে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও, পরবর্তীতে তিনি শিবির বদলে অন্য কোনো জার্সি পড়ে নেবেন না, সেই ব্যাপারে একশো নিশ্চিত নন কোনো পক্ষই। স্বাভাবিক ভাবেই এখন বারাসাতের এই তৃণমূল বিধায়কের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -