এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রত্নাকে সরিয়ে শোভনকে বার্তা তৃণমূলের? জোর জল্পনা রাজ্যে

রত্নাকে সরিয়ে শোভনকে বার্তা তৃণমূলের? জোর জল্পনা রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য এবং আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। তবে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কারণে এবং স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছুটা হলেও মতানৈক্য তৈরি হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। যার পরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে দেখা যায় তাকে। কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র, মন্ত্রীপদ কোনো কিছুরই ধার ধারেননি তিনি। উল্টে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, বান্ধবীর অপমান তিনি সহ্য করতে পারবেন না। তাই দলত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।

বিজেপিতে গিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলবে না এমনটা আশা করা গেলেও বাস্তব সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন হয়ে উঠেছিল। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও কোনো গুরুত্ব না পেয়ে রীতিমত ঘরে বসে থাকতেই দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মাঝে তার তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তৈরি হলেও তা বাস্তব হতে দেখা যায়নি। প্রায় সকলেই নিশ্চিত, স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাদের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মেনে নিতে পারেননি। আর তার ফলেই নেত্রীর সঙ্গে বিবাদে দল ছাড়তে বাধ্য হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।

এদিকে এই ঘটনার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে গিয়ে নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধি করে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চাইলেও তৃণমূল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়ে পাল্টা শোভনবাবুকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে যতদিন রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবেন, ততদিন যে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সক্রিয় হবেন না, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে। তবে এবার রত্না চট্টোপাধ্যায়কে শোভনবাবুর ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তৃণমূলের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফেরার পথ কি প্রশস্ত করতে চাইল শাসক দল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সম্প্রতি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে, শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি চায় তাহলে তিনি তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন। এমনকি এর জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় কি কি চান, সেই ব্যাপারেও প্রস্তাব দেওয়া হয় তাদের কাছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, রত্না চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে এবং তাদের নিয়ে তৃণমূলের এক তরুণ মুখপাত্র টিভিতে যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এই দুই নীতিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেস রাজি হয়, তাহলে তারা শাসকদলের নাম লেখাবেন বলে বৈশাখীদেবী জানিয়ে দিয়েছিলেন বলে বিশিষ্ট সূত্র মারফত খবর।

তবে যেকোনো কারণেই হোক বৈশাখী দেবীর দেওয়া প্রথম শর্ত ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এবার তাকে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার ধীরে ধীরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব? আর তাই বৈশাখীদেবীর প্রস্তাব মেনে নিয়ে এবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডানা ছেটে দিল ঘাসফুল শিবির?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে থেকে তেমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির করতে পারছেন না। তবে তার একটা বিরাট মাপের ভোটব্যাঙ্ক যে রয়েছে, একথা সত্য। তাই তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন, তাহলে সেই ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আসতে পারে। তাই এখন থেকেই সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরে আসার জন্য তার সমস্ত প্রস্তাব মেনে নেওয়ার দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে শাসক দলকে। এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব তৃণমূল কংগ্রেস কমিয়ে দেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে সক্রিয় হন কিনা?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!