এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > 2019 শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরাতেই কি নিষ্ক্রিয় করা হলো রত্না চট্টোপাধ্যায়কে? পড়ুন বিস্তারিত

2019 শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে ফেরাতেই কি নিষ্ক্রিয় করা হলো রত্না চট্টোপাধ্যায়কে? পড়ুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূল যথেষ্টভাবে সক্রিয় তাদের পুরনো রথী-মহারথীদের পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনতে। একসময় তৃণমূলের বহু রথী-মহারথী দলের সঙ্গে কিছুটা অভিমান, বা কিছুটা মতান্তরে, বা বিশেষ কোন সমস্যার কারণে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির বা অন্যান্য দলে চলে গিয়েছিলেন। গত একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল ছেড়ে চলে যাওয়া প্রাক্তনীদের দোলে প্রত্যাবর্তনের এক বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন।

শুধু তাই নয় তাদের দলত্যাগের সমস্যা গুলোর ব্যাপারে খোজ নিয়ে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করাতেও তিনি যথেষ্ট তৎপর হন। এর পর থেকেই প্রাক্তন বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকর্মী তথা সদস্যের প্রত্যাবর্তন শুরু হয়। তবে তৃণমূলের এক সময়কার মহারথী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এতদিন শাসকদলকে তেমন কিছু করতে দেখা যায়নি। তবে, এবার মনে হচ্ছে বিজেপিতে চলে যাওয়া এই মহারথী প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূলে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেলেও বেশ দোলাচলের মধ্যেই তিনি নিজেকে রেখেছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে সেরকম সক্রিয় নন, আবার তৃণমূল তৃণমূল ফেরাতেও তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। তবে পুরোনো দলে ফেরার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে, তার উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, যতদিন তার এলাকায় তৃণমূল সংগঠনের শীর্ষে তৃণমূল সংগঠনের শীর্ষে আহরণ করবেন তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়, ততদিন তিনি দলে ফিরতে বিশেষ একটা আগ্রহীরা নন।

কিন্তু এবার আশ্চর্যভাবে কলকাতার বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শাসক দলের কোনো কাজই আর রত্না চট্টোপাধ্যায় করবেন না। প্রসঙ্গত গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই শাসক দলের তরফ থেকে এরকম একটি ঘোষণা করা হলো, তবে এ ব্যাপারে স্বয়ং রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” আমায় দল কিছু জানায়নি। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। আপনাদের সাংবাদিকদের থেকেই সব শুনছি। ”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্তের সিদ্ধান্তেই দল এমন একটি পদক্ষেপ নিল। তবে এ ব্যাপারে এখনও শাসকদলের তরফ থেকে কোনো সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়নি। গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক সম্মেলনে কথা শোনা যায়নি। তৃণমূল দলের অন্দরের আলোচনা থেকেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করা হলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এর সমস্ত রকম সাংগঠনিক কাজ কর্ম থেকে।

কিন্তু এটাও ঠিক যে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র যখন থেকে তৃণমূল দলে কিছুটা অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন, এরপর বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন সেই সময় থেকে তার অভাব পূরণ করতে একেবারে যথাসর্বস্ব ঢেলে দিয়েছিলেন দলের এই নেত্রী। এককথায় দলে শোভন বাবুর সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে বহন করে নিয়েছিলেন তিনি। তাই এমন একজন সক্রিয় নেত্রীকে দলের ক্ষমতা ও দায়িত্ব থেকে অকস্মাৎ অপসারণে যথেষ্টই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

তবে তাঁর অপসারণের বিষয়টি সম্পর্কে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রত্না চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সর্বময় কর্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। দলের অন্দর থেকেই অভিযোগ উঠেছে যে, সবার সঙ্গে উপযুক্ত আলোচনা না করেই তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। যা দলের অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ফলত দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপা গুঞ্জন। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মেয়র ঘনিষ্ঠ জনৈক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ” রত্নাদি নিজেকে বেহালার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবতে শুরু করেছিলেন। ওঁকে বুঝতে হবে উনি শোভনদার স্ত্রী। শোভনদা নন! যে ওঁর কথা দীর্ঘদিনের কর্মীরা মুখ বুজে মেনে নেবেন! ”

তবে যাই হোক না কেন রত্না চট্টোপাধ্যায় কিন্তু দলের কাজে নিজেকে কিছু উজার করে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী যখন ব্রিগেড সমাবেশ করতে যাচ্ছেন , ঠিক সেসময়, অর্থাৎ গত ২০১৯ সালের ১৯ সে জানুয়ারি তিনি ব্রিগেডে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সমাবেশের আয়োজন করেছিলে। আর এই সমাবেশের জন্য তিনি গোটা বেহালা ঘুরে বেরিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয়, পর্ণশ্রী কলেজের ছাত্রছাত্রী গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিবারণের জন্যেও তিনি বারবার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রাক্তন মেয়রকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনতেই রত্না চট্টোপাধ্যায় এর প্রতি এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!