বিরুদ্ধে মতের হলেই শিক্ষকদের দূরে বদলি, সরকারি নিয়ম নিয়ে আদালতে বড় পদক্ষেপ রাজ্য July 29, 2018 সম্প্রতি চলতি বছরের 12 ই মার্চ রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে যে, প্রশাসনিক কারনে যে কোনোও বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীদের অন্যত্র বদলি করা যাবে। আর এই বদলির জন্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি সুপারিশও পাঠানো হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। আর সেই সুপারিশ মত কমিশন যদি কোনো প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকাকেও বদলি করে তাহলেও তা মেনে নিতে হবে। এমনকী রিলিজ অর্ডার পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে সেই নতুন জায়গার কাজে যোগ দিতে হবে তাঁদের। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। জানা গেছে, সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিরোধী মতকে অবদমিত করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছিল কিছু শিক্ষক, শিক্ষিকারা। এবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেন শিক্ষক সন্দীপ মন্ডল ও কমলাকান্ত হাঁসদা। জানা গেছে, এই দুজনকেই গত 5 ই জুলাই বদলির নির্দেশ পাঠানো হয়। আভিযোগ, বর্তমান স্কুল থেকে 350 কিমি ও 150 কমি দূরে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে যে বিদ্যালয়ে তাঁরা কাজ করতেন সেখানে এই সন্দীপ মন্ডল যেমন একাই ইতিহাসের শিক্ষক ঠিক তেমনি কমলাকান্ত হাঁসদাও একাই বাংলার শিক্ষক। ফলে তা সত্তেও কেন তাঁদের বদলা তা বুঝতে পারছেন না কেউই। সূত্রের খবর, 1997 সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনের 10 সি ধারা মোতাবেক এই নিয়ম বলে সরকার প্রচার করলে এদিন এই 10 সি আইনকেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আইনজীবি বিকাশ ভট্টাচার্য, দেবব্রত সাহা রায়, বিবেকানন্দ বাউরিরা। মামলাকারীদের আইনজীবিরা এই 10 সি ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করলে সরকারের তরফের আইনজীবি এটাকে আইনমাফিক নিয়ম বলেই উল্লেখ করেন। পাল্টা মামলাকারীদের আইনজীবিদের দাবি, চাকরির সময় এরুপ কোনো শর্তই দেওয়া হয়নি! ফলে এখন বদলি কেন? এতে চাকরির প্রাথমিক শর্তই লঙ্ঘিত হয়। তাই এই আইন অসাংবিধানিক। সূত্রের খবর, আদালত এদিন এহেন বদলির কারন হিসাবে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে সরকার ও কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলাকারীদেরও এই 10 সি ধারাকে চ্যালেঞ্জের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেন আদালত। তবে সরকারের দাবি, এই মামলার কোনো যুক্তিই নেয়। এদিকে আদালতের বক্তব্য, প্রথম শুনানিতেই সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জে প্রার্থনা করলে কিছু কারনে তা মঞ্জুর করা হল না। ফলে এক সপ্তাহ পর সরকারের এই বদলি সংক্রান্ত নির্দেশিকা মামলা ঠিক কোন পথে এগোয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -