এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার সাধারণকে বঞ্চিত করে রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, নিশ্চুপ প্রশাসন, বাড়ছে ক্ষোভ

এবার সাধারণকে বঞ্চিত করে রেশনে দুর্নীতির অভিযোগ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, নিশ্চুপ প্রশাসন, বাড়ছে ক্ষোভ


2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পরই ক্ষমতায় এসে রেশনিং ব্যবস্থাকে স্বচ্ছতা আনতে খাদ্য দপ্তরকে নানা নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ যে নিচুতলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখনও পৌঁছায়নি তা ফের আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, রেশন কার্ড বিলির জন্য নিয়ে গিয়ে এক বছরের বেশি সময় তা নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাঁকরাইল ব্লকের পাঁচপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কয়েকজন প্রাক্তন সদস্যের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। কেননা রেশন কার্ড নিয়ে কেন পঞ্চায়েত সদস্যরা তা নিজেদের বাড়িতে থাকবে তা নিয়ে এলাকাবাসীদের একাংশ ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, গত বছর জানুয়ারি মাসে এই পাচপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু রেশন কার্ড নতুন করে ইস্যু করা হলে সেই কার্ডগুলো যাতে দ্রুত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায় সেই কারণে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এরপরই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই পঞ্চায়েতের সদস্যদের তাদের নিজস্ব পার্টের কার্ডগুলো বিলি করার দায়িত্ব দেওয়া হলে অভিযোগ, সেই সদস্যরা সেগুলো বিলি না করে এক বছরের বেশি সময় ধরে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কার্ড না পাওয়ায় বুধবার বিকেলে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান অনেক উপভোক্তারাই। গোটা ঘটনি তারা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে জানালে বিষয়টি দেখবার জন্য আশ্বাস দেন সেই সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই সমস্ত ঘটনা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সাঁকরাইল থানাকে জানানো হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে সাঁকরাইল থানা। জানা গেছে, আজকের মধ্যেই সমস্ত কার্ড গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে অভিযুক্তরা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কেন দিনের পর দিন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের কাছে সেই কার্ড ছিল? কেন তারা তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়নি তা নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্ন।

অন্যদিকে 35 থেকে 40 টি কার্ডের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দোকান থেকে তুলে নিলেও সেই রেশন দোকানের ডিলার তার কোনো প্রতিবাদ করেননি কেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধন্দ। কেন এমনটা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “আমরা দেখছি রেশন কার্ড গুলো যাতে গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়। কোনো গরীব মানুষ যাতে খাদ্য সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় আমরা সেদিকে নজর রাখছি। পাশাপাশি কেন এই ঘটনা ঘটল তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।”

তবে এখন এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও কেন প্রথম থেকে প্রশাসন বা পদাধিকারীদের সেই অভিযুক্তদের প্রতি কোনোরূপ সতর্ক দৃষ্টি ছিল না এখন এই ঘটনা নিয়েই নানা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে সাঁকরাইলের পাঁচপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!