এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত নিয়ে নতুন ভাবনায় শাসকদল

বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত নিয়ে নতুন ভাবনায় শাসকদল

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলকে টেক্কা দিতে ও তাদের দুর্নীতির প্রশ্নে বিঁধতে যখন বিরোধীদল এলাকার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অরাজনৈতিক বিশিষ্ট মুখ প্রার্থী হিসাবে ভাবছে, তখন শাসকদলের ভাবনায় বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত। এর মধ্যেই শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের কথায় বোঝা যাচ্ছে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে, এমনকি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শাসকদলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়েছে। কিন্তু বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত করতে গিয়ে পেশিশক্তির ব্যবহার যথেষ্ট অস্বস্তিতে রেখেছে শাসকদলকে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যেমন প্রধান প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে তেমনই দলের পেশিশক্তির ব্যবহারও মাথা ব্যাথার কারণ হতে চলেছে শাসকদলের তা দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই পরিষ্কার।
পার্থবাবু বলেন, সিপিএমের একটু চাঙ্গা হওয়া দরকার, আরও ভাল ভাবে কাজ করতে বলছি সিপিএমের ক্যাডারদের। সাহস হচ্ছে না বলে সিপিএমের বন্ধুরা যে লোটা কম্বল নিয়ে বিজেপির পিছনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, সেটা বন্ধ করলে দেখবেন, বিজেপি আর নেই। পদ্ম তো দূরের কথা এ বাংলায় কুঁড়িও ফোটাতে পারবে না। তবে গায়ের জোরে নয়, ভোট করে জিতে আসতে হবে, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। অনেক জায়গায় ভোট হবে না, করতে দেবে না কেউ কেউ। কিন্তু সেটা দলের পক্ষে ভালো হবে না। মনে রাখবেন দলের পক্ষে তা ক্ষতিকর। গত পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিরোধী শূন্য’ নির্বাচন করার চেষ্টা যে মানুষ ভাল মনে নেয়নি, স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা আগেই জানিয়েছিলেন, এ বার সে বার্তাই জেলায় দেলায় বয়ে বেড়াচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, শুধু পঞ্চায়েত নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। আর সে জন্যই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও কুপ্রভাব যাতে পরের লোকসভা ভোটে না পড়ে, সে জন্যই এই সতর্কতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!