প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আজ নবান্ন স্যানেটারাইজারের জন্য মুখমন্ত্রীর অফিস ও নবান্ন বন্ধ, এর মাঝেই নিজের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কালীঘাটে মুখমন্ত্রীর বাড়িতে লোক মারফত তিনি মুখমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি যে যে পদে ছিলেন সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। শুধু তাই নয়, এছাড়া মেইল মারফত পদত্যাগ পত্র তিনি পাঠিয়েছেন রাজ্যপালকেও। আর রাজ্যপাল ও সেই পদত্যাগ পত্র প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে জানা যাচ্ছে কালকেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, আর এই খবর সামনে আসতেই জল্পনা যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেই দিল্লি যাচ্ছেন। যদিও এখনো সেই নিয়ে কোনো কথা বলেন নি। তবে তিনি এখনই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত , গতকাল তাঁর ছেড়ে দেওয়া হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন (এইচআরবিসি) চেয়ারম্যানের পদে নিযুক্ত হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন ধরেই দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব ও পিকের উপর শুভেন্দু অধিকারী যে ক্ষুব্ধ, তা আর গোপন নেই। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের “ঠান্ডা লড়াই” চলছিলই। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ২ দফায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও বরফ যে গলেনি তা এবার স্পষ্ট।

এদিকে জল্পনা আরো বাড়ার কারণ গত পরশু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন. যিনি শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত । এদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর জন্যও দরজা খোলা।

তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী কদিন ধরেই সভা করছেন। তাঁর সাম্প্রতিক কোনও সভা-সম্মেলনে তৃণমূলের প্রতীক, ব্যানার, ফেস্টুন কিচ্ছু দেখা যাচ্ছিল না! যে কারণে তাঁর দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা তীব্র হচ্ছে। এদিকে জেলায় জেলায় দাদার অনুগামী নামে নানা ধরণের পোস্টারেরও সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সব কিছু নিয়ে এখন জল্পনা অব্যাহত।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য কিছুদিন আগেই তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু সেখানে গিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর দেখা তিনি পাননি। উল্টে তার বাবার শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথা সেরে আসতে হয়েছে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতাকে। আর এরপরই নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সৌগত রায়ের মত প্রবীণ সাংসদ উদ্যত  হয়েছিলেন।আর ওই মন্ত্রিত্ব বা যদি তিনি দল ছাড়েন তবে যে বড়সড় ক্ষতি হলো তৃণমূলের তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বড় বড় রাজনৈতিকমহল।