পঞ্চায়েতের সময় বীরভূমে অনুব্রত যত উত্পাত করবে, আমরা তার দ্বিগুন করব: বিজেপি বিশেষ খবর রাজ্য December 15, 2017 বীরভূম জেলায় বিজেপির সংগঠন এমনিতেই বেশ ভালো, কিন্তু সেখান এখনো ভোট করানোতে শেষ কথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। বিরোধী থেকে প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সবাইকে ধমকে-চমকে আর নিজের সঠিক লোকেদের সঠিক জায়গায় ‘সঠিক’ কাজে লাগিয়ে তিনি একের পর এক নির্বাচনে গোটা জেলা জুড়ে ঘাসফুল ফুটিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি এবার মরিয়া সেই প্রথা পরিবর্তনের জন্য। আর সেই কাজে এখন থেকেই কোমর বেঁধে লেগে পড়লেন বিজেপি নেতৃত্ত্ব। গতকালই বিজেপির মহিলা মোর্চা এই ইস্যুতে দাপিয়ে বেরিয়েছে গোটা সিউড়ি আর আজ নজিরবিহীনভাবে দলের জেলার ৪০টি মণ্ডল কমিটিকে নিয়ে সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন দলের জেলার দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা। পরে সমীরণ বাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটান। তিনি বলেন, অনুব্রতর যত বাড়বাড়ন্ত ওই কাগজ-টিভিতে, আসলে ওর কোনও অস্বিত্বই নেই, সবই ফাঁকা আওয়াজ। আমাদের রাজ্য পার্টি থেকেই নির্দেশ রয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা থেকে অনুব্রত মণ্ডল অ্যাণ্ড টীমকে সমূলে উত্খাত করতে হবে, সেই লক্ষ্যেই এদিন জেলার ৪০টি মণ্ডলকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক হল। গত একমাস ধরে অনুব্রত হুমকি দিচ্ছেন, আমাদের নাকি পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে দেবে না। আমি আপনাদের বলছি, পঞ্চায়েতের সময় বীরভূমে অনুব্রত যত উত্পাত করবে, আমরা তার দ্বিগুন করব এবং সেই পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবেন অনুব্রত ও জেলা পুলিশ। এর সাথেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ত্ব দাবি করেন, মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরেছে, ফলে মার খাওয়ার দিন শেষ। মারতে এলে এমন পাল্টা মারব, যাতে আর এলাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ওরা না পায়, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠক থেকে। সঙ্গে আরো দাবি কিছুদিনের মধ্যেই জেলায় বিশাল জনসভা করতে চলেছেন সদ্য দলে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়, সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেখানে অন্তত লক্ষ লোকের সমাগম করে নিজেদের শক্তি দেখিয়ে দেবে বিজেপি। শুধু তাই নয় সেদিন মুকুল বাবুদের হাত ধরে শাসকদল বড়সড় ভাঙ্গনও ধরাতে চলেছে বিজেপি বলে ওই নেতাদের দাবি। আপনার মতামত জানান -