এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে জালিয়াতি, চোখ কপালে প্রশাসনিক কর্তাদের

রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে জালিয়াতি, চোখ কপালে প্রশাসনিক কর্তাদের


সম্প্রতি রাজ্যে অবিবাহিতা মেয়েদের বিবাহের জন্য  ‘রুপশ্রী ‘ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের জন্য এককালীন 25 হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু এবারে সেই রুপশ্রী প্রকল্পে আবেদনকারীদের চাওয়া পাওয়া দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে অনেকেরই। সূত্রে খবর, স্বামী থাকা সত্তেও অনেকেই দামি মোবাইল, বাইরে বরোতে যাওয়ার ইচ্ছের জন্য স্বামীবিচ্ছিন্না বলে নিজেদের অভিহিত করছে। আবার কেউ তো আরও একধাপ এগিয়ে নিজের ইঞ্জিনিয়ার বাবা কে দিনমজুরও বানিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করছেন না। সম্প্রতি রুপশ্রীর এমন কয়েকটি আবেদন পত্র দেখে হতবাক রাজ্যের ঘাটাল মহকুমার প্রশাসনিক কর্তারা। উদাহরন হিসাবে তাঁরা দেখালেন ঘাটালেরই এক যুবতীর আবেদনপত্র। সেই যুবতীর বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অথচ আবেদনপত্রে সেই যুবতী লিখেছে, “বাবা দিনমজুর, পারিবারিক আয় দেড় লক্ষ টাকা।”  আবার অপেক বিবাহিতা তরুনী স্বামীর সাথে সংসার করেও দাবি করছেন তাঁর ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে ফের বিয়ে করতে চায়। ঘাটালের দাসপুর 1 ব্লকের এইরকমই এক তরুনী এজন্য বিয়ের নকল কার্ডও নাকি জমা দিয়েছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এপ্রসঙ্গে ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “আবেদন যাচাই করতে গিয়েই এইরুপ অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। গরমিল পেলেই আবেদন বাতিল করা হবে।” এই প্রকল্পের টাকা পেতে যারা ভিত্তিহীন তথ্য দিচ্ছে  সেই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক বলেন, ” কথা বলে জেনেছি কেউ স্কুটি বা দামি মোবাইল কেনার জন্য মিথ্যা আশ্রয় নিয়েছে। কারও কারও আবার ওই টাকায় বেড়াতে যাওয়ারও ইচ্ছে ছিল।”

প্রশাসন সূত্রে খবর, রুপশ্রী প্রকল্পের এই টাকা যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকা এমনই বাড়ির বিবাহযোগ্যা মেয়েরা এই সুবিধা পাবেন। প্রথম বার বিয়ের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা মিলবে। বিয়ের প্রমানপত্র হিসাবে বিয়ের কার্ড জমা করতে হবে।তবে এইরকম ভুয়ো তথ্য দেওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সমাজতত্তের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রশান্তকুমার রায়। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “পরিশ্রম না করে টাকা পাওয়ার সুযোগ থাকলে এক শ্রেনীর লোক এমনটা করবেই। তাই আবেদন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ন্যায্য হওয়া জরুরী।” তবে প্রভাবশালীর চাপে কেউ কেউ ভুয়ো তথ্য দিয়েও এই সুবিধা পেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন এই সমাজতত্তবিদ।

ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জৃলা সভাপতি রতন দত্ত বলেন, ” গরিব মানুষের কথা বললেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন  প্রকল্পের উদ্দেশ্যই হল নিজের দলের লোককে টাকা পাইয়ে দেওয়া।রুপশ্রীও তাই।” পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃনমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ”  আবেদন ভুয়ো হলে প্রশাসন খারিজ করে দেবে। আমাদের নেতার সইয়ে তো আর টাকা মিলবে না।তবে দলমতনির্বিশেষে সবাই চাইছেন যাদের জন্য প্রকল্প তাঁদের কাছেই যেন পোছোয় প্রকৃত সুবিধা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!