বনধ উপলক্ষে ৩ দিনের ছুটি বাতিল, রাজ্যের নির্দেশিকায় বড়সড় পদক্ষেপ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য September 25, 2018 গতকালই এক সংবাদে আমরা আপনাদের জানাই আগামীকালের বনধ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এক নজিরবিহীন নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যে যে কোন রকমের বনধ রুখতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন এর আগে বনধের দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও স্কুল শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করত। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সংশ্লিষ্ট বনধের দিনে সব ছুটি বাতিল করত রাজ্য সরকার। কিন্তু এবারেরই নজিরবিহীনভাবে শুধু বনধের দিনেই নয়, বনধের আগের ও পরের দিনও এই বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে গতকালই সরকারি কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকাকে ‘অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানান রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। একটি ১২ ঘন্টার বনধের রাজ্য সরকার কিভাবে ৩ দিনের ছুটি বাতিল করতে পারে – সেই প্রশ্নও তিনি গতকাল তুলে দেন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর এইবার দেবাশিসবাবুর সুরেই সুর মিলিয়ে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা মইদুল ইসলাম। রাজ্য সরকারের এই তিনদিনের ছুটি বাতিল প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, কোনো সরকারি কর্মচারীর বা স্কুল শিক্ষকের ছুটি নেওয়া সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার। রাজ্য সরকার কিভাবে এই ধরণের আপৎকালীন নির্দেশে ৩ দিনের জন্য বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ছুটি বাতিল করতে পারে? কারোর কোনো ব্যক্তিগত কারণে ছুটির প্রয়োজন হতেই পারে – সেক্ষেত্রে ৩ দিনের জন্য বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম অগণতান্ত্রিক ও সরকারি কর্মচারী এবং স্কুল শিক্ষকদের অধিকারে হস্তক্ষেপ। মইদুলবাবু আরও জানান, যেহেতু রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা কাল জারি হয়েছে এবং আজ থেকেই তা বলবৎ, তাই এই মুহূর্তে আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছি না। কিন্তু, আমরা বাংলার সমস্ত শিক্ষককে জানাচ্ছি, আমরা ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেড়ে নিয়েছি। এই তিনদিনের জন্য যদি রাজ্যের কোন একজন শিক্ষকেরও বেতন কাটা যায় বা তাঁরা অন্য কোনরকম শাস্তির সম্মুখীন হন – তাঁর জন্য আমরা আদালতে যাব এবং তাঁর সমস্ত আইনি লড়াই আমরা করব সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রাজ্য সরকার যে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার খেসারত রাজ্যের একজন স্কুল শিক্ষককেও আমরা দিতে দেব না। রাজ্য সরকার এইভাবে গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরতে পারে না, আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ রাজ্যের শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় আইনি লড়াইয়ে যতদূর যেতে হয় যাবে, কিন্তু কিছুতেই রাজ্য সরকারের এই খামখেয়ালি নির্দেশের বলি রাজ্যের কোন শিক্ষক হতে দেবে না। আপনার মতামত জানান -