এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন-বৈশাখী ফের সিবিআই দফতরে, জল্পনা তুঙ্গে

শোভন-বৈশাখী ফের সিবিআই দফতরে, জল্পনা তুঙ্গে


2013 সালে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলা যখন আমজনতার সামনে এলো, ঠিক সেসময়ই নিখোঁজ হয়ে যান সারদা মালিক সুদীপ্ত সেন ও তার সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। সারদা মালিকের খোঁজ পেতে পুলিশ হন্যে হয়ে তাদের খোঁজ চালাচ্ছিল। অবশেষে তাঁদের কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে সুদীপ্ত সেনের জবানবন্দিতে উঠে আসে সারদাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশের নিচুতলা থেকে শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরাও জড়িত ছিলেন। সুদীপ্ত সেনের কথার সূত্র ধরে এরপর সিবিআই তদন্তে নামে। আর তারপরই একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে ছোটেন। অভিযোগ ছিল, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। এবার তিনিও সিবিআই দপ্তর হাজিরা দিলেন।

বৃহস্পতিবার সারদা কাণ্ডের তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সিজিও কম্প্লেক্সে বৈশাখী ও শোভন এদিন পৌঁছান বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ। কিছুদিন আগেই সারদা-তদন্তে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দপ্তর থেকে ডেকে পাঠিয়েছিল। এদিন তিনি হাজিরা দিতে এলেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক মাস ধরে সারদা তদন্ত যে দিকে এগিয়েছে যেভাবে জেরা পর্ব চলেছে, সেখান থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। সারদার একাধিক কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল‌ কলকাতা কর্পোরেশন থেকে‌। আর সেই সময় কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে চাইছে, সারদা কোম্পানির জন‍্য যে ট্রেড লাইসেন্সগুলো করানো হয়েছিল, সেগুলো কি সঠিক নিয়ম মেনে করা হয়েছিল? নাকি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভা ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে দিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সারদা তদন্তে একটাই কথা প্রথম থেকে আজ অব্দি উঠে এসেছে। আর তা হল প্রভাবশালীদের মধ্যে বিশাল আর্থিক লেনদেন। সেই তালিকায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম আছে কিনা সেদিকটাও খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।সারদার সবচেয়ে বেশি আমানতকারী ছিল দক্ষিণ 24 পরগনা থেকে। আর দক্ষিণ 24 পরগণা জেলা সভাপতির দায়িত্বে সেসময় ছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। দুটি সূত্র এক জায়গায় মিলছে কি না সে ব্যাপারেও সিবিআই তদন্ত করে দেখতে চাইছে।

সিবিআই সারদা তদন্তে দাবি করে এসেছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের। আর সে ব্যাপারেই তদন্তে গতি আনতে এদিন সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। গত 11 সেপ্টেম্বর নারদা তদন্তের জন্যও ভয়েস দিতে নিজাম প্যালেস পৌঁছান শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, সারদা তদন্তের চূড়ান্ত চার্জশিটে নাম থাকতে চলেছে অনেক হেভিওয়েট নেতা,মন্ত্রী,পুলিশকর্তার। সারদাকাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে চরম অস্বস্তি শুরু হয়েছে। একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জেরা চলছে সিবিআই দপ্তরে। ফলে শাসক শিবিরের ওপর এক প্রকার মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধীরা এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারে। আপাতত সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়ে রাজনৈতিক নেতা ব্যক্তিরা সারদা তদন্তকে কোন দিকে মোড় দেন, সেদিকেই নজর রাখবে এখন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!