অমিত শাহের আক্রমণের পর “করোনা এক্সপ্রেসের” দায় ঝেড়ে “পাবলিকের” ঘাড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 10, 2020 করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে আসছিল একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিক। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এত ব্যাপক শ্রমিক রাজ্যে আশায় রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কেন্দ্র কি রাজ্যে করোনা এক্সপ্রেস পাঠাচ্ছে! এই ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে তুলে ধরেই বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে তুলে ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। যেখানে তিনি বলেন, “বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোয় মুখ্যমন্ত্রীর অনিহা রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে কাছে গিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে সব রাজ্য। শুধু পশ্চিমবঙ্গ ফেরাতে চাইছে না!” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি আরও বলেন, “আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম, বাংলার জন্য ট্রেনের নাম মমতা দিদি যখন ‘করোনা এক্সপ্রেস’ রাখলেন। আমরা এর নাম রেখেছিলাম শ্রমিক স্পেশাল।” অর্থাৎ অমিত শাহ এই সভার মধ্যে দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে বাংলার সরকার অনীহা প্রকাশ করছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা এক্সপ্রেসের মন্তব্যকে মানুষের সামনে এনে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিলেন বলেই দাবি একাংশের। আর অমিত শাহ যখন এই মন্তব্য করলেন, ঠিক তার পরের দিনই এই ব্যাপারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমি কখনও করোনা এক্সপ্রেস বলিনি। আমি বলেছিলাম পাবলিক বলছে।” আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মন্তব্য করে চরম সমস্যায় পড়েছেন। বিজেপির আরও দাবি, অমিত শাহ যখন ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে সেই মন্তব্যকে তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন, তখন তিনি তার আগের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ রূপে নস্যাৎ করে দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বিজেপি সমর্থকদের টিপ্পনি দেখা যাচ্ছে – সব দায় ‘পাবলিকের’ ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন! ফলে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য বা অবস্থান স্পষ্ট করলেও, তা নিয়ে শুরু হল নতুন বিতর্ক। আর সেই বিতর্ক এখন কোন মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -