দুই অমিতের লড়াই! ‘নকলি মহারাজ’ শাহকে একের পর এক তথ্য তুলে ধরে তীব্র আক্রমন মিত্রের! কলকাতা জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 10, 2020 গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আয়োজিত ভার্চুয়াল সভা। সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভার্চুয়াল সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে অমিত শাহ বলেছেন, গত ছয় বছরে কেন্দ্রের তরফে বাংলাকে মোট ৪ লক্ষ্য ৪৮ হাজার ২১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই টাকার হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে অমিত শাহ এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন বলে জানা গেছে। করোনার কবলে পড়ে ভিন রাজ্য থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন। এছাড়াও বেকারত্ব, গণবণ্টন ব্যবস্থা, আয়ুষ্মান ভারত এবং কিষান সম্মান বিধি ইত্যাদি প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা তুলে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনটাই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার অমিত শাহের তীব্র প্রতিবাদ করে একটি অনলাইন ভিডিও বৈঠকে’ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র একের পর এক কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য তুলে এনে জানিয়েছেন,“পরিযায়ীদের শুধু খাবারের কিছু টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। স্পষ্ট করে বলুন না, নগদ টাকা দেব না। ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বদলে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকেন। ফলে তাঁরা নিশ্চয়ই অর্থনীতির কিছু না কিছু বোঝেন। তবে কী বোঝেন জানি না।” জানা গেছে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্পের বিষয়ে গরিব মানুষদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার একেবারেই অজ্ঞাত রেখেছে ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে অমিত মিত্র জানিয়েছেন,”এই প্রকল্প চালু করার দু’বছর আগেই রাজ্য সরকারের তরফে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়।দুর্বল ভাবে হলেও এটা ওঁদের নকল করার প্রবণতা। আমরা যা-ই করছি, তা-ই নকল করার চেষ্টা হচ্ছে।” পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো বিষয় নিয়ে এদিন অমিত মিত্র বেশকিছু অর্থনৈতিক তথ্য ভিডিও বৈঠকে তুলে ধরেন। এদিন তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু কেবলমাত্র বাংলাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে কোনো টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে প্রায় ২৫ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক বাংলাতে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন। তাদের হাতে যদি কেন্দ্র কিছু পরিমাণ টাকা তুলে দিত তবে সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও ভারসাম্য আহত। পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে টাকা এলে চাহিদা বাড়ত পাশাপাশি যোগান বাড়ত। কার্যত রোটেশনাল পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ঠিক হতো। এদিন অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ্য মানুষকে রেশন দেওয়ার যে দাবি কেন্দ্র সরকার করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রায় দেড় কোটি মানুষের নাম সংযোজন করে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। এদিন তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে জানিয়েছেন,“একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই ৪ কোটি ৯ লক্ষ মানুষকে নিখরচায় রেশন দিচ্ছে।” তিনি সরাসরি কেন্দ্র সরকারকে এদিন তোপ দেগে বলেছেন কেন্দ্র সরকার পরিকল্পনাহীন ভাবে অর্থনীতি পরিচালনা করেছে। জিএসটি,নোট বন্দি ইত্যাদি চরমভাবে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি করেছে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর। তিনি আরোও বলেছেন গত ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম জিডিপি সবথেকে কম। এমনকি গোটা রাজ্যে স্থানে বেকারত্বের সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ সেখানে গোটা দেশে বেকারত্বের সংখ্যা প্রায় ২৩ শতাংশ। যা কেন্দ্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অমিত মিত্র, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে ওই ভিডিও বৈঠকে’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে উদ্দেশ্য করে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র “ডিরেলমেন্ট মাস্টার” হিসাবে অভিহিত করেছেন। এই উক্তির পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্টই জল্পনা ঝড় উঠেছে বলে খবর। আপনার মতামত জানান -