এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুভেন্দু ঘনিষ্ঠকে আদালতে তোলা মাত্রই চাঞ্চল্যকর আবেদন অভিযুক্তের, শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠকে আদালতে তোলা মাত্রই চাঞ্চল্যকর আবেদন অভিযুক্তের, শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখালে বেরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ায়। প্রতারণার অভিযোগে মাণিকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা যেভাবে একের পর এক প্রতারণা মামলায় জড়িয়েছেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তীব্র চাঞ্চল্য। অন্যদিকে মঙ্গলবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা আদালতে চিৎকার করে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেন, যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন। সূত্রের খবর, এদিন কাঁথির আদালতে মামলার শুনানির জন্য রাখাল বেরাকে তোলা হয়েছিল।

কিন্তু শুনানি চলাকালীন বিচারকের উদ্দেশ্যে রাখাল বেরা ক্রমাগত চীৎকার করতে থাকেন এবং স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চান। কার্যত রাখাল বেরার বিরুদ্ধে সেচ এবং পরিবহণ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিশাল টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চলছে একাধিক। একটি মামলায় জামিন পেলেও বাকি মামলাগুলি এখনো বিচারযোগ্য। বর্তমানে কাঁথি আদালতে শুনানির জেরে সেখানেই রয়েছেন রাখাল। অন্যদিকে রাখাল বেরার আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবেনা যেহেতু লিখিতভাবে আবেদন করা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও ভারতবর্ষে এই আবেদন এখনো আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রাখালের এভাবে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করার কারণ হিসেবে তাঁর আইনজীবীর দাবি, যেভাবে একের পর এক মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন তিনি- তা সহ্য করতে না পেরেই স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন রাখাল বেরা। তবে রাখাল বেরার এই ধরনের আবেদনের পেছনে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের ইঙ্গিত থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপি শিবিরে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। গতকালই গোষ্ঠী কোন্দলের হাত ধরে প্রাণ গিয়েছে যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকারের। কার্যত গোষ্ঠী কাজিয়ার শিকার হতে পারেন রাখালও।

তাই আগেভাগেই রাখাল স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে রাখলেন। প্রসঙ্গত রাখাল বেরা যেহেতু শুভেন্দু অধিকারীর অন্যতম অনুগামী, তাই তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে রাখাল বেরাকে জেরা করে নতুন কি কি তথ্য পুলিশ উদ্ধার করতে পারে সে দিকেই নজর রয়েছে সবার। এখন প্রশ্ন পুলিশের জেরার হাত থেকে বাঁচতে রাখাল স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন না তো? ঠিক এর সাথেই আরও একটি প্রশ্ন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে, তাহলে কি রাখালের পেছনে কাজ করছে বড় কোন মাথা? পুলিশের জেরার মুখে যাতে সেই নাম বেড়িয়ে না যায় তার জন্য রাখালের এই আবেদন নয় তো? একাধিক অনুমান এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাখাল বেরাকে নিয়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!