এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুই উচ্চপদস্থ আমলার পদত্যাগ ঘিরে তীব্র জল্পনা, শিক্ষক নিয়োগ কি বিশ বাঁও জলে?

দুই উচ্চপদস্থ আমলার পদত্যাগ ঘিরে তীব্র জল্পনা, শিক্ষক নিয়োগ কি বিশ বাঁও জলে?

রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য ইস্তফা পত্র পেশ করেছেন। তবে শুধু চেয়ারম্যানই নন এসএসসির প্রাক্তন সচিব তথা বর্তমান উপদেষ্টা নরেন্দ্রনাথ দত্তও ইস্তফা দিয়েছেন বলে শোনা গেছে। রাজ্য সরকারের এই দুই উচ্চপদস্থ কর্তা গত মঙ্গলবার তাঁদের ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এদিন এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে খোদ সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানালেন যে তিনি এমন কোনো পদত্যাগপত্র এখনও পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করেননি। প্রসঙ্গত, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির চেয়ারম্যানের পদের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ত্বও সামলান। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রের খবর এই মুহূর্তে এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নানা আইনি ফাঁসে আটকে রয়েছে। একই সাথে দুটি ভিন্ন স্থানে সরকারের দুটি গুরুত্ব পূর্ণ পদের দায়িত্বে থাকার কারণে সুবীরেশবাবুর উপরে প্রবল শারীরিক এবং মানসিক চাপ পড়ছিলো।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এছাড়াও রয়েছে যাতায়াতের ধকল, তাছাড়া বেশ কয়েক বছর যাবত আইনী জটিলতার কারণে এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি স্থগিত থাকার কারণে শিক্ষামন্ত্রী নিজেও তাঁর ওপর পরোক্ষ ভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। সে কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ একটা চাপ ছিলই বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। এদিন তাঁর ইস্তফার বিষয়ে সুবীরেশবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পার্থবাবুকে বলেছিলাম যে আমি আর দুজায়গায় সামাল দিতে পারছি না। কিন্তু এখনও ইস্তফা দিইনি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার আধিকারিক নরেন্দ্রনাথবাবুকে এসএসসির সচিব করে আনার নেপথ্যেও ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ফলে অনুমান করা হচ্ছে সুবীরেশবাবু পদে থাকতে চাইছেন না দেখেই নরেন্দ্রনাথবাবুও ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও জানা যাচ্ছে সরকার কর্তৃক এই ইস্তফাপত্রগুলি এখনই গৃহীত হয়নি। তবে সেটা যদি তা গৃহীত হয় তবে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!