এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যের মন্ত্রীর সভাতেও অন্তর্দ্বন্দ্বের কাঁটা, অনুপস্থিত পদাধিকারী!

রাজ্যের মন্ত্রীর সভাতেও অন্তর্দ্বন্দ্বের কাঁটা, অনুপস্থিত পদাধিকারী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে বেশি করে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাদের নানা বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলছে শাসক দলকে। এবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জনসভা করা হলেও, সেখানে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকারের অনুপস্থিতি ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করল।

সূত্রের খবর, বুধবার ভারত ভুটান সীমান্তর জয়গায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডে একটি জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মাকে। তবে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকারও এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। যার কারণ হিসেবে শীলাদেবী তার ছেলে অসুস্থ বলে জানিয়েছেন। তবে মোহন শর্মার অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সারাদিন মোহনবাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। স্বাভাবিক ভাবেই দলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সভায় উপস্থিত থাকলেও কেন তিনি সেখানে অনুপস্থিত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

 

এদিনের সভায় উপস্থিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের উপর বেশি করে জোর দেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, “কসমোপলিটন জয়গাকে পৌরসভা করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। করোনার জন্য জয়গাতে তৈরি হওয়া দমকল কেন্দ্র উদ্বোধন করা যায়নি। আমি ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জয়গা দমকল কেন্দ্র চালুর বিষয়টি বলব। ভুটান গেট বন্ধ থাকার জন্য জয়গার অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়। সেই কারণে রাজ্য সরকারের তেমন কিছু করার থাকে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়েও এদিনের সভায় আওয়াজ তোলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, “চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য আমরা খুব তাড়াতাড়ি বৈঠকে বসব।” একাংশ বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু উন্নয়নের উপর ভরসা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জনসাধারণ সমর্থন করলেও, তাদের দলেই যেভাবে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা যাচ্ছে, তাতে শৃঙ্খলা রক্ষা না হলে তৃণমূল কিভাবে সাফল্য পাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

 

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এই জনসভায় উপস্থিত থাকলেন কিন্তু সেখানে কেন অনুপস্থিত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা মোহন শর্মা! তিনি তো জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব! সেক্ষেত্রে দলের মন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও, তিনি এই সভায় অনুপস্থিত থেকে কি অন্য কোনো বার্তা দিতে চাইলেন? তাহলে কি দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন মোহনবাবু! এখন সেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই হেভিওয়েট নেতার সভায় অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অস্বস্তিকে কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!