‘ঘরের ছেলেদের ঘরে’ ফিরিয়ে পঞ্চায়েতের আগে মুর্শিদাবাদে মাস্টারস্ট্রোক পরিবহন মন্ত্রীর বিশেষ খবর রাজ্য February 12, 2018 গত বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যজুড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়পতাকা উড়লেও কতকটা মুখ থুবড়ে পরে উত্তরের দুই জেলা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে। আর তাই নির্বাচনের পরেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের দায়িত্ত্ব তুলে দেন বিশ্বস্ত সৈনিক তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। আর দায়িত্ত্ব পেয়ে তিনিও হতাশ করেননি দলনেত্রীকে। কংগ্রেস থেকে বিভিন্ন স্তরের একের পর এক হেভিওয়েট নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে কংগ্রেসের তিনি কংগ্রেসের ‘দূর্গ’ বলে খ্যাত মুর্শিদাবাদকে প্রায় ঘাসফুলের দখলে নিয়ে চলে এসেছেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের আগে অধীর চৌধুরীদের ‘বড়’ ভরসা ছিলেন তৃণমূল ‘বিক্ষুব্ধ’ ও ‘ব্রাত্য’ নেতা-কর্মীরা, এঁদের হাত ধরেই পঞ্চায়েতে হৃৎ গৌরব পুনরুদ্ধারের আশায় ছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে পঞ্চায়েতের আগে আবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা আমিনুল ইসলাম। শুধু আমিনুল ইসলামই নন, নির্দল হিসেবে গত বিধানসভা ভোটে লড়া বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সামসুল হোদার সঙ্গে থাকা পরিচিত এক ঝাঁক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাও এ দিন তৃণমূলে ফিরলেন তাঁর হাত ধরে। তৃণমূলে ফিরে তাঁদের বক্তব্য, যেদিন কংগ্রেসের কেউ ছিল না, দলের পতাকাটা সাগরদিঘিতে আমরাই বয়ে বেরিয়েছিলাম, আজ একটাই লক্ষ্য, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করা। কংগ্রেস ছেড়ে এসেছিলাম একদিন, ফের সেই কংগ্রেসেই ফিরে গিয়েছেন হোদা। এটা বিশ্বাসঘাতকতা, আমরা তৃণমূলকে ঘরবাড়ি মনে করি, তাই সেখানেই ফিরলাম। অন্যদিকে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস, এই অশুভ জোটকে উৎখাত করতে প্রতিটি বুথে শনি ও রবিবার বৈঠক করতে হবে তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপিকে হটালেই হবে না, তাদের দোসর অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসকেও তাড়াতে হবে। ২০১৩ তে পঞ্চায়েতে পারিনি, ২০১৪ সালের লোকসভায় পারিনি, ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও চারটির বেশি আসন পাইনি। কিন্তু এখন এ জেলায় তৃণমূল জেলা পরিষদ, ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতি, ২৫০টির মধ্যে ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে। এ বারে মানুষের ভোটে জিতে এ জেলার দখল নিতে হবে আমাদের। আপনার মতামত জানান -