এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিমান ভাঙাতে অধিকারী বাড়িতে ছুটলেন পিকে? শেষমেশ কি বরফ গলল? টেনশন কাটল তৃণমূল পরিবারের?

অভিমান ভাঙাতে অধিকারী বাড়িতে ছুটলেন পিকে? শেষমেশ কি বরফ গলল? টেনশন কাটল তৃণমূল পরিবারের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দোটানা বাড়ছে শাসকদল তৃণমূলের। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী দলের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠছেন, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে? নাকি তাঁকে বুঝিয়ে দলে ফেরানো হবে? এ নিয়ে দোটানায় দল। এদিকে, তৃণমূলে মুখ্যমন্ত্রীর পর দলের মধ্যে যদি, জনপ্রিয়তার শীর্ষে কেউ থেকে থাকেন, তবে তিনি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মত এত অনুগামী, দলের আর অন্য কোন নেতার আছে কিনা সন্দেহ। জেলায়, জেলায় রয়েছে তাঁর অনুগামী। জেলায়, জেলায় পড়ছে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার। এদিকে দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর। তবে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছেড়ে চলে যান, তাহলে সমূহ বিপদ আছে দলের। এই পরিস্থিতিতে গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যেতে দেখা গেল ভোট কুশলী পিকেকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে গেলেন পিকে। তখন সময় রাত ৮: ৩০। রাত পৌনে ১০ টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বেরোলেন পিকে। তবে, গতকাল কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পাননি পিকে। একাধিক কর্মসূচি থাকার কারণেই তিনি জেলার বাইরে ছিলেন। তাই পিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে তাঁর পিতা শিশির অধিকারী সঙ্গে অনেক্ষন কথা হয়েছিল তাঁর। সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল।

দলের সঙ্গে অভিমান করে, দলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তলানীতে নিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন তিনি। দলের বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সফরেও তিনি উপস্থিত থাকেন নি। এদিকে নিজের অনুগামীদের নিয়ে সমান্তরাল সভা করছেন তিনি। যেখানে দলের নাম, দলের প্রতীক, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কোন কিছুরই ব্যবহার করছেন না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নাম পর্যন্ত নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়ছে।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ত্যাগ করেন, তবে যে প্রবল বিপাকে পড়বে শাসক দল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি যদি দল ছেড়ে চলে যান, তবে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন এলাকাতে বিরাট বিপর্যয়ের আশঙ্কা আছে। কারণ তাঁর মতো জনপ্রিয় নেতা দল ছেড়ে দিলে, বিপুল সংখ্যায় অনুগামীরাও দল ছেড়ে চলে যাবে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে শাসকদলে। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করছে বিভিন্ন বিরোধী দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি না বলেও দলের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য রেখেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর এই কাণ্ডের পর থেকেই দলের অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা দলের বিরুদ্ধে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর এর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নাও এই তালিকাতে এসেছেন। অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন বলেই, বহুদিন ধরে দলে থাকা বিক্ষুব্ধ নেতা, বিধায়কেরাও দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

দলের বিরুদ্ধে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একের পর এক পোস্ট চলছে দলের বিরুদ্ধে। পিকের বিরুদ্ধেও সরব। অভিযোগ উঠেছে, এত কিছু দেখার পরেও নিশ্চুপ হয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী আশ্বস্ত করা, তাঁর রাগ ভাঙ্গানোর কোন চেষ্টাই করছেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে গেলেন ভোট কুশলী পিকে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে না থাকায় তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয়েছে পিকের। তবে তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে সেটা তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান। তাই গতকাল পিক তাঁকে সতর্ক করতে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করতে গিয়েছিলেন তা জানা যায় নি।

তবে, অনেকেই মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী যদি তিনি দল ছেড়ে দেন, তবে একটা বড়সড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে শাসক দল। বেশকিছু বিধানসভা আসনে শাসক দলের হার নিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই কারণে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গিয়েছিলেন পিকে। তবে তিনি বাড়িতে না থাকায় তাদের মধ্যে কোন কথা হয়নি। তবে পিকে জানিয়েছেন যে, ফোনে তাদের কথা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!