এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মুর্শিদাবাদ জেলাকে বিরোধীশূন্য করার দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন শুভেন্দু অধিকারী, দলে এলেন দুবারের হেভিওয়েট বাম বিধায়ক

মুর্শিদাবাদ জেলাকে বিরোধীশূন্য করার দিকে আরও এক ধাপ এগোলেন শুভেন্দু অধিকারী, দলে এলেন দুবারের হেভিওয়েট বাম বিধায়ক

পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েই মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস গড়কে ভেঙে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন কংগ্রেসের হাত থেকে আলগা হতে শুরু করেছে একদা কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মত জেলাগুলি। অনেকে বলছেন, এ আসলে শুভেন্দু ম্যাজিক।

আর এবারে সেই শুভেন্দু ম্যাজিকে দুই-দুইবারের দাপুটে সিপিএম বিধায়ক তথা মুর্শিদাবাদ জেলার সিপিএমের ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক কানাই মন্ডলও যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সূত্রের খবর, ব্রিগেডে জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে এদিন মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ব্লকের রসুলপুরে একটি জনসভা করেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

আর এই সভা মঞ্চেই সেই শুভেন্দুবাবুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মন্ডল এবং বেলডাঙা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলার অনিতা সাহা। এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুব্রত সাহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি অশোক দাস ও প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হক সহ জেলায় তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়কেরা।

এদিকে এদিন দাপুটে সিপিএম বিধায়ক ও বিজেপির কাউন্সিলরকে দলে যোগদান করিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো দল থাকবে না। বিরোধীদের আরও ভাঙ্গা হবে।” পাশাপাশি নবগ্রাম বিধানসভায় আগামী লোকসভা ভোটে বিপুল সংখ্যক লিড পাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী।

অন্যদিকে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার 5 লক্ষ্য ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে এদিনের এই সভা থেকে রাজ্যের সিপিএম, কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সকাল-সন্ধ্যা তৃণমূলের সমালোচনা করেন অধীর বাবু‌। আর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে লাঞ্চ করেন তিনি। দলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডের সভায় আসছেন। আর এই রাজ্যের কিছু কংগ্রেস আর সিপিএম নেতা খাল কেটে কুমির ডেকে এনে পিছনের দরজা দিয়ে বিজেপিকে ডেকে আনছেন। যারা এই দুমুখো রাজনীতি করছেন, তাদের থেকে সকলে দূরে থাকুন।”

এদিকে যে মুর্শিদাবাদে আগে 4 জন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন, সেইখানে এখন তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা 11 হয়েছে। তাই আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এই জেলার পরিস্থিতির আরও বদল হবে বলেও এদিন ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হঠাৎ কেন সিপিএমের নবগ্রামের বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কানাই বাবু এলাকার উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই তৃণমূলে আসতে চেয়েছিলেন। তার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই। তাই এই বিষয়টি শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দেন। তাই এদিন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে নেওয়া হলো।”

অন্যদিকে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সেই কানাই মন্ডল এদিন বলেন, “উন্নয়নের শরিক হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” সামনেই তো লোকসভা ভোট। ধীরে ধীরে হাতে গুটিকয়েক থাকা বিধায়কও যদি এইভাবে দল বদল করে শাসক দলে যোগ দেয় তাহলে বাম শিবিরে ধ্বংস তো অব্যাহত থাকবে। কিভাবে তাহলে আসন্ন লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার হবে তারা?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কানাই মন্ডলের দলবদলের কথা কয়েকদিন আগেই শুনেছি। ওনাকে বোঝানোও হয়েছিল, কিন্তু কেন উনি দলবদল করলেন, তা উনিই ভালো বলতে পারবেন।” তবে তৃণমূলের চরিত্র তিনি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন সুজন চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় ফের বিরোধীদল ভাঙিয়ে নিজেদের ভিতকে শক্ত করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!