এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় ‘ভুয়ো প্রশ্নপত্র’ ছড়ালো হোয়াটসঅ্যাপে তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে

শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় ‘ভুয়ো প্রশ্নপত্র’ ছড়ালো হোয়াটসঅ্যাপে তীব্র চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে

বিএড পরীক্ষার ‘ভুয়ো প্রশ্নপত্র’ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষা বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। জানা গেছে,শনিবার শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিএড প্রশিক্ষণের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা ছিল।পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য জুড়ে।

পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল ১২ টায় কিন্তু তার আগে এই বিভ্রান্তি ছেড়ে ১৬৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণে বেশ বেগ পেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এ বিষয়ে বালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।যদিও মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া প্রশ্ন পত্র মিলিয়ে দেখা যায় কোন মিল নেই সে দুটির মধ্যে। তারপরে পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মূলত সন্দেহ করছে বেসরকারি বিএড কলেজগুলিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কিছু অসাধু চক্র এ কাজ করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা বাতিল করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় কে কালিমালিপ্ত করা।এ বছর পরীক্ষায় কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ, প্রশ্নপত্র ও কলেজে পাঠানো থেকে শুরু করে খাতা দেখা সমস্ত প্রক্রিয়াটি হবে নতুন নিয়মে।

এতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ হাতে হাতে কলেজগুলিতে প্রশ্নপত্র পাঠালেও এবার তা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় থানায় পাঠানো হয়েছে। এবং সেখান থেকে প্রশ্নপত্র কলেজে গেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই ধরনের পদক্ষেপ। কিন্তু তা সত্বেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্ত হয়েছে পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বেসরকারি কলেজ গুলোতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আগামী দিনে বেসরকারি কলেজে পরীক্ষা আসন বসবে কি না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা আছে। সেটি হল রাজ্য সরকারের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বেশি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাই স্বাভাবিক ভাবেই বেসরকারি কলেজগুলিতে পরীক্ষার আসন না বসালে এত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া অসুবিধা হবে। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কঠোর হতে পারছে না। তবে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ঘটনা এড়াতে আগামীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!