এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পুজো শেষ হতে না হতেই তৃণমূল-বিজেপি তীব্র রাজনৈতিক হিংসা শুরু! ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলা

পুজো শেষ হতে না হতেই তৃণমূল-বিজেপি তীব্র রাজনৈতিক হিংসা শুরু! ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে চলেছে ততই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ক্রমাগত বাড়ছে, পুজোর দিনেও যা বন্ধ হলো না। গত সোমবার বিজয়াদশমীর রাতে প্রতীমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রাজারহাটে সংঘর্ষে জরালো তৃণমূল ও বিজেপি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার একাদশীর দিনের সকালে আবার সংঘর্ষ দেখা দিল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে। এই ঘটনায় আহত হলেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে শিখরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাজেতরফ এলাকায় মিলন সংঘের মাঠের নিকটে একটি পুকুরে প্রতীমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। এই এলাকায় একটি তৃণমূল সমর্থক ও একটি বিজেপি সমর্থকদের পুজো। কারা আগে প্রতিমা বিসর্জন দেবে, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। যা থেকে অল্প সময় পরেই শুরু হয় মারামারি। শেষ পর্যন্ত শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। হানাহানির খবর পেয়েই রাজারহাট থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

সেদিনের মত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে, গতকাল মঙ্গলবার একাদশীর দিন সকালে চাঁদপুর অঞ্চল সভাপতি তরুণী নস্করের বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অকস্মাৎ চড়াও হয়। তরুণী নস্করের ভাইয়ের হাত ভেঙে দেয়, সেই সঙ্গে মারধর করে বাড়ির মহিলাদেরও। খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তরুণী নস্করের বাড়িতে উপস্থিত হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ বাহিনী। গতকাল রাত পর্যন্ত দু দলের মোট ৬ জনকে আটক করা হয়। এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের দুই সংঘর্ষ প্রসঙ্গে রাজারহাট-নিউটাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর কর গণমাধ্যমকে জানালেন যে, প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পাড়ার মধ্যে গন্ডগোল বেঁধেছিলো, যা ছিল একটি পাড়ার একটি বিষয়। কিন্তু এরপরে দাঙ্গাবাজ বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালানো হলো তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে। তাদের পরিবারের ৪ জনকে মারধর করা হলো। তাঁরা আহত হয়েছেন এই হামলায়।আবার, চাঁদপুর তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, সম্প্রতি বিজেপির জনৈক পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করেছেন তৃণমূলে। সেই আক্রোশের কারনেই তৃণমূলের উপরে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মী ও দুষ্কৃতীরা।

তবে, বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিক থেকে ওঠা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজারহাটের বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ ঘোষ গণমাধ্যমকে জানান, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আহত করেছে বিজেপির ৮ জন কর্মীকে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর ও তাঁদের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। তৃণমূলের পাশাপাশি পুলিশেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজারহাট থানার পুলিশ তৃণমূলের দলদাসের মতো আচরণ করছে। বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ও বিজেপির ক্রমাগত সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!