এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আদালতের রায়ে এখনই হচ্ছে না রথযাত্রা – তাই রথ বাঁচাতে আপাতত বাংলার বাইরে পাঠিয়ে ও থামিয়ে দেওয়া হল রথকে

আদালতের রায়ে এখনই হচ্ছে না রথযাত্রা – তাই রথ বাঁচাতে আপাতত বাংলার বাইরে পাঠিয়ে ও থামিয়ে দেওয়া হল রথকে


স্বপ্ন ছিল, আশাও ছিল প্রচুর। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে উদ্যোগী বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি অবশেষে একপ্রকার ভেস্তেই গেল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপির এই রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বকে একটি আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আলোচনা চললেও বাংলায় এই রথযাত্রার সম্ভাবনা যে আপাতত বিশবাঁও জলে চলে গিয়েছে তা উপলব্ধি করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরাও।

আর তাইতো রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই রথযাত্রার রথগুলি যেইখানে এসেছিল তা সেখান থেকেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির এই প্রথম রথটি 7 ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের।

আর এই রথযাত্রার প্রস্তুতিতে যাতে কোনো খামতি না থাকে সেজন্য গত 5 ডিসেম্বর নয়ডা থেকে বিহার হয়ে কিষানগঞ্জ দিয়ে একটি রথ শিলিগুড়িতে ঢোকে। আর এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিং আহলুওয়ালিয়ার কনভয় দিয়ে সেটিকে কোচবিহারে একটি গোপন ডেরায় এনে রাখা হয়েছিল।

কিন্তু এত গোপনতার সমস্ত কিছুই ব্যর্থ হল যখন কলকাতা হাইকোর্টের রায় বেরোলো বিজেপির এই রথযাত্রাকে নিয়ে। আর তারপরই যখন তাঁদের রথযাত্রার সম্ভাবনা ফিকে হতে শুরু করল, ঠিক তখনই সেই কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া রথটিকে বাংলা ছাড়ার নির্দেশ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই গতকাল ভোরেই তা শিলিগুড়ি হয়ে বিহারে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে গঙ্গাসাগর থেকে বের হওয়া রথটি রাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও তা ঝাড়খণ্ডেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর 14 ই ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকে যে রথযাত্রা হওয়ার কথা ছিল সেই রথটি এখনো নয়ডার ওয়ার্কশপ থেকে বেরই করা হয়নি।

আর এখানেই একাংশ মনে করছেন, এটা আসলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই কৌশলী জয়। বিজেপির এই রথযাত্রা নিয়ে যে বিশাল কর্মকাণ্ড ছিল তা ভেস্তে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েছে একাধিক দলীয় কর্মী। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, এই একটি অত্যাধুনিক ভলভো বাসের মতো ছিল। যেখানে একটি ডবল বেড, ডিফান কাম বেড, একটি খাবার টেবিল এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে ওয়াই ফাই, ইন্টারনেট, জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম সহ সব কিছুরই ব্যবস্থা ছিল। এমনকি এই বাসে যাতে শাসকদল কোনরূপ হামলা চালাতে না পারে সেই জন্য গোপনে সেই রথযাত্রার রুটও ঠিক করে রেখেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এমনকি ঠিক কোন রোড দিয়ে এই রথ যাবে তা রাজ্যের একাধিক নেতাও জানতেন না। তবে যে জেলা দিয়ে এই রথ যাবে সেখানকার দলীয় নেতাদের সেই ব্যাপারে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সুতরাং নিরাপত্তার প্রশ্ন তো তখন আসবে, যখন রথের চাকা ঘুড়বে। কিন্তু আদালতের রায়ে সেই রথের চাকা ঘোরার সম্ভাবনাই প্রায় বিশ বাঁও জলে চলে যাওয়ায় এখন বাংলায় কার্যত থমকে গেল বিজেপির রথযাত্রা বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!