এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহের সভাস্থলে পাল্টা সভা করে তৃণমূলের ফ্লেক্স ও পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

অমিত শাহের সভাস্থলে পাল্টা সভা করে তৃণমূলের ফ্লেক্স ও পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

বিজেপিকে পাল্টা দিতে এবার অমিত শাহের সভাস্থলেই সভা করার প্ল্যান তৃণমূলের। জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে অমিত শাহের সভাস্থলে,এমনটাই জানিয়ে দিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির দাপট দেখাতে একটা সুযোগও হাতছাড়া করতে চায় না শাসকদল।

প্রমাণ দিয়ে দেয় তৃণমূলের কর্মসূচিগুলোই। বিজেপিকে প্রত্যেক পদক্ষেপেই তৃণমূল বুঝিয়ে দিতে চায়,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলায় বিজেপির জায়গা নৈব নৈব চঃ। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে সভার ২৪ ঘন্টা আগেই তৃণমূলের ফ্লেক্স এবং পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগে তেমন পাত্তা দেননি বিজেপির জেলা নেতা গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল।

লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ২৪ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখে দফায় দফায় বাংলায় সভা করেন জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর সেজন্যেই গত ২২ জানুয়ারি মালদায় সভা করতে আসেন বিজেপির হাইকমান্ডার। তৃণমূলবিরোধী ভাষণের মাধ্যমে মালদায় বিজেপির সংগঠনকে পোক্ত করার চেষ্টা করেন।

এবার সেই অমিত শাহের সভাস্থলেই পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর সেই সভার প্রচারের জন্যে গোটা শহরকেই দলীয় পতাকা-ব্যানারে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে সভার একদিন আগেই সাহাপুরের মেইন গেটের ফ্লেক্স ও পতাকা ছিঁড়ে ফেলল বিজেপি,এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন সকালেই জোড়াফুলের ছেঁড়া ফ্লেক্স এবং পতাকা নজরে আসতেই মেজাজ বিগড়ে যায় শাসকদলের নেতা-কর্মীদের। সরাসরি অভিযোগ তোলে বিজেপির বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে পুরাতন মালদার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুদর্শন হালদার জানান,এদিন সকালেই সভাস্থলের মেন গেটের ফ্লেক্স ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ব্রিজের ধারে লাগানো পতাকাগুলোও খুলে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রাত ১২ টা পর্যন্ত এই পতাকা লাগানোর কাজ চলেছে। তারপরই দুষ্কৃতিরা এই কাজ করেছে।

এবং এই কাজ বিজেপি ছাড়া আর কারোর নয়,এমনটাই জেলা সভাপতির। সম্প্রতি মৌসম নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েই এই কাজ করেছে বিরোধীরা। সমস্ত ঘটনাই জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণই অস্বীকার করলেন বিজেপির জেলা নেতা গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি জানান,গত ২২ জানুয়ারি অমিত শাহের সভাকে পন্ড করে দেওয়ার জন্যে প্রশাসনের মদত নিয়েছিল তৃণমূল। এভাবে বিরোধীদের কর্মসূচি বানচাল করার কালচার তৃণমূলের আছে,বিজেপির নেই। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে নিজেরাই নিজেদের দলীয় পতাকা,ফ্লেক্স ছিঁড়ে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!