করোনা নিয়ে নয়া পদক্ষেপ, শুরু হলো সমীক্ষা! আশার আলো রাজ্যে! রাজ্য September 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গোটা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে বিপদজনক জায়গায় রয়েছে, ঠিক তখনই ভারতবর্ষেও ভয়াবহ এই রোগ আছড়ে পড়তে শুরু করে। একের পর এক রাজ্যে হু হু করে বাড়তে শুরু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল, তখন তীব্র আতঙ্ক গ্রাস করে প্রত্যেকের মধ্যে। করোনাতে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছিল যেমন সাধারণ মানুষদের, ঠিক তেমনই বাড়ছিল মৃত্যুসংখ্যা। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু মানুষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও, এর পেছনে কো-মর্বিডিটি রয়েছে বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেরই প্রশ্ন, এই কো-মর্বিডিটি কি? জানা যায়, যে সমস্ত মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের যদি আরও অন্যান্য কোনো অসুখ থাকে, তাহলে তারা বেশি করে এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপদজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন। ফলে করোনা ভাইরাস খুব একটা বিপদজনক না হলেও, এর সঙ্গে যদি সেই আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অন্য কোনো অসুখ বাসা বাধে, তাহলে তা অবশ্যই চিন্তার কারণ বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিরোধীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আসলে করোনায় প্রকৃত তথ্য লুকানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলতে চাইছেন। তবে যতদিন যেতে শুরু করে, ততই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যায় সকলের কাছে। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেও, পরবর্তীতে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সেই কো-মর্বিডিটির তত্ত্ব সামনে আনা হয়। ফলে একটা জিনিস কার্যত সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর জন্য অন্যান্য অসুখ অনেকটাই দায়ী। আর এবার সেই কো-মর্বিডিটি নিয়ে সমীক্ষা করে করোনা ভাইরাসকে আরও দ্রুত চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় কতজন মানুষ সহ অসুস্থতায় ভুগছেন, তার জন্য একটি সমীক্ষা করা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ করছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে জেলা কো-মর্বিডিটির একটি ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে। আর সেখানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কোন ব্যক্তির কোন কোন অসুখ রয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে লেখা থাকবে। আর আগে থেকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ব্যাপারে সমীক্ষা করায় করোনা ভাইরাস যেমন চিহ্নিত করা সম্ভব হবে, ঠিক তেমনই অন্যান্য অসুখ চিহ্নিত করে তা দ্রুত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। যেখানে গ্রামীণ এলাকায় আশা কর্মী এবং শহরে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই কাজ করছেন। মূলত তাদের কাছে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইছেন যে, তাদের কোনো অসুখ রয়েছে কিনা। আর এর ফলেই সমীক্ষার মাধ্যমে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে আগামীদিনে রোগ নির্ণয় করা অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা জেলায় কো-মর্বিডিটির সমীক্ষা শুরু করেছি। পৌরসভা থেকে পঞ্চায়েত এলাকা মিলিয়ে সব জায়গাতেই এই গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা চলছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথমে এই কো-মর্বিডিটি তত্ত্ব নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুললেও, পরবর্তীতে যতদিন যেতে শুরু করে, তত ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস খুব একটা চিন্তাজনক না হলেও, এই রোগ যদি কারও শরীরে আক্রমণ করে এবং তার যদি অন্য কোনো কঠিন অসুখ থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে ব্যাপক চিন্তা তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি এরকম অনেক উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্য কি কি অসুখ হয়েছে, তার সমীক্ষা করে বাস্তব তথ্য তুলে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর তার ভিত্তিতেই করোনা ভাইরাসকে বধ করার পদ্ধতি অনেকটাই সুবিধে হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় কো- মর্বিডিটি চিহ্নিত করতে এই পদক্ষেপ এখন কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -