এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট গণনার আগে নন্দীগ্রামে শুরু অশান্তি, একে অপরের দিকে অভিযোগ তৃণমূল ও বিজেপির

ভোট গণনার আগে নন্দীগ্রামে শুরু অশান্তি, একে অপরের দিকে অভিযোগ তৃণমূল ও বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 8 দফা নির্বাচনের শেষ। রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে ভোট গণনা। পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তন এই বিতর্কে মেতে উঠেছে সারা বাংলা। একদিকে যেমন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, প্রত্যাবর্তন আসন্ন। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে ঠিক এর বিপরীত দাবি করা হচ্ছে, পরিবর্তন এসে গেছে শুধু সময়ের অপেক্ষা ঘোষণার। কিন্তু তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো নন্দীগ্রামে। প্রসঙ্গত, এই নন্দীগ্রাম থেকেই প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী। এবারের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে কার্যত বাংলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার নতুন অশান্তি নন্দীগ্রামে।

কিন্তু ভোটের শেষে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে, বাংলায় ক্ষমতায় ফিরছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আসন সংখ্যার ফারাক অনেকটাই কম হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট গণনার আগে উঠে আসছে অশান্তির খবর। খুব স্বাভাবিকভাবেই আগামীকাল রাজ্যসহ সারাদেশের নজর থাকবে নন্দীগ্রামের দিকে। কারণ নন্দীগ্রামে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন। নন্দীগ্রাম এবার কার হাত ধরতে চলেছে, সেদিকে থাকছে কড়া নজর। কিন্তু ভোট গণনার আগেই নন্দীগ্রাম 2 নম্বর ব্লকের রেওয়াপাড়া গিরি মোড়ের কাছে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আজ।

প্রসঙ্গত এই রেওয়াপাড়াতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের সময় এসে বেশ কিছুদিন থেকেছেন। এবং তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন পোড়ানো হয়েছে তার বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলের দাবি, গেরুয়া শিবির এই ঘটনার পেছনে দায়ী। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যেসব বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাল্টা বিজেপির দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ঘটনা তৃণমূল নিজেই করেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোন যোগ নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, বিজেপির সংস্কৃত নয় এগুলি। তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়ে দায় চাপাচ্ছে বিজেপির ওপরে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের নির্বাচনের মতো ভোট গণনাতেও কড়া ব্যবস্থা রাখছে নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর হিসেবে নন্দীগ্রামকে ভাগ করা হয়েছে। আর সেই মতনই পুলিশ পিকেটিং ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। গণনার আগেই নন্দীগ্রামে 1 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে বলে খবর। গণনার দিন এবং ভোট পরবর্তী দিনে রাজনৈতিক হিংসা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নন্দীগ্রাম নিয়ে প্রথম দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন সদাসতর্ক।

ভোটের দিন গোটা নন্দীগ্রামে জারি ছিল 144 ধারা। পুরো এলাকা সিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্বেও নন্দীগ্রামে হিংসার ঘটনা কিন্তু দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার ভোট গণনার পরে আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। সুতরাং পুলিশ পিকেট থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় কোথায় মোতায়েন হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে ভোট গণনার আগেই যেভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর বৃদ্ধি পেল, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার রেশ এত সহজে মিটবেনা বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!