প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতিকে সরলতর করতে এক বিশেষ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো দেশের ২৩ টি রাজ্যের সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। গ্রুপ সি র চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে এখন থেকে আর ইন্টারভিউ দেবার প্রয়োজন হবে না, লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে মেরিট। লিস্ট। আবার গ্রুপ বি র নন গেজেটেড চাকরির ক্ষেত্রেও এই নতুন পদ্ধতি বলবৎ থাকবে। তবে অতি উচ্চপদে চাকরির পরীক্ষায় ইন্টারভিউ পূর্বের মতোই বলবৎ থাকবে।

গত ২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ তুলে দেবার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর গত ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্র সরকার গ্রুপ বি র নন গেজেটেড ও গ্রুপ সি র চাকুরী পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ পদ্ধতি তুলে দেয়।

কেন্দ্র সরকারের দাবি ছিল ইন্টারভিউ পদ্ধতি তুলে দেয়া হলে চাকরি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ঝামেলা অনেকটা কমবে, নিয়োগ পদ্ধতি হবে দ্রুত ও স্বচ্ছ। চাকরি প্রার্থী ও তার পরিবার মানসিক যন্ত্রণা থেকেও অনেকটা রেহাই পাবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, ইন্টারভিউ চালু থাকলে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে ইন্টারভিউর ফল প্রকাশ পর্যন্ত চাকরি প্রার্থী ও তার পরিবারকে প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে পড়তে হয়। এ কারণেই তাদের মানসিক শান্তি দিতে কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত। এছাড়াও ইন্টারভিউ পদ্ধতিতে দুর্নীতির অভিযোগও আছে। তাও বন্ধ হবে এতে।

তবে গত ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্র বেশকিছু পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ তুলে দিলেও সমস্ত রাজ্য সরকার এই পদ্ধতি গ্রহণে রাজি হয়নি। যদিও সে সময় এই পদ্ধতি গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে চালু হয়েছিল। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৫ বছর পর দেশের মোট ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে সবকটিই( ৮ টি ) এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

এই নতুন পদ্ধতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইতিপূর্বে বলেছিলেন, ” মোদি জমানায় হওয়া বহু ঐতিহাসিক সংস্কারের মধ্যে এটি একটি।”  তবে এই পদ্ধতিতে যোগ্যতম প্রার্থী বাছাই সঠিকভাবে হবে কিনা? এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।