প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সবে শিবরাজ সিং চৌহান করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। তবে ডাক্তারদের নির্দেশ মতো তাঁকে এখনো নিয়ম মেনে চলতে হবে। অন্যদিকে করোনার হাত থেকে নিস্তার মেলেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে এবার রাজনৈতিক অন্দরমহলেও করোনার থাবা প্রসারিত হয়েছে। আর সেই কারণে এবার দেখা যাচ্ছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বিজেপি নেতাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ যা-ই থাকুক না কেন, দেশের অন্যতম কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অবশ্য এর পেছনে অশুভ মুহূর্তকেই দেখছেন।

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং তাঁর টুইটে দাবি করেছেন একের পর এক বিজেপি নেতাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণ অযোধ্যায় ভূমি পূজার অশুভ মুহূর্ত বাছাই। আর এই দাবি নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন। একের পর এক বিজেপি নেতারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথমে শিবরাজ সিং চৌহান, তারপর অমিত শাহ এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। দ্বিগ্বিজয় সিং দাবি করেছেন, সনাতন ধর্মের রীতি না মেনে বিজেপি নেতারা যেভাবে রাম মন্দিরের পূজার মুহূর্ত নির্ধারণ করেছেন, সে কারণেই বিজেপি নেতারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।

তবে উল্লেখ্য, দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ অযোধ্যার ভূমি পুজোর মুহূর্তকে অশুভ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন অনেক আগেই। তবে এবার রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেসের গলায় শোনা যাচ্ছে বিজেপির সুর। আর তাই নিয়েই ওয়াকিবহাল মহলেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। কিছুদিনআগেই দ্বিগ্বিজয় সিং দাবি করেছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও ‘রাম মন্দির হোক’ চেয়েছিলেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও এদিন টুইট করেছিলেন রাম মন্দিরের স্বপক্ষে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গলাতেও শোনা গেছে রাম মন্দিরের স্বপক্ষে যুক্তি।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় রাজনীতিতে বিজেপির সাথে পাল্লা দিতেই কংগ্রেস তাঁদের সুর বদল করেছে। তবে এক্ষেত্রে কংগ্রেসের মতামত ঘিরে বিতর্ক যে দলের অন্দরেই শুরু হবে, সে কথা বলাই বাহুল্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের অবৈজ্ঞানিক মতামত ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আপাতত সারাদেশ কৌতুহলী নজর রাখছে অযোধ্যায়।