এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সত্যজিৎ থেকে দেবেন্দ্রনাথ! বাংলায় একের পর এক বিধায়কের ‘হত্যা’? বিধানসভার আগে ব্যাকফুটে মমতা?

সত্যজিৎ থেকে দেবেন্দ্রনাথ! বাংলায় একের পর এক বিধায়কের ‘হত্যা’? বিধানসভার আগে ব্যাকফুটে মমতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টবিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই সংঘর্ষ যে বিধায়কদের প্রাণ কেড়ে নেবে, তা সত্যিই কল্পনা করতে পারেনি কেউ। এবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু হল হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। যাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। হঠাৎ করে কেন বিরোধী দলের এই বিধায়ক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন, নাকি গোটা ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে, এখন তা নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছে একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গোটা ঘটনায় এবার যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের উপরে বড়সড় চাপ আসতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা যেহেতু হেমতাবাদের বিধায়ক ভারতীয় জনতা পার্টির, তাই বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় ব্যাপক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সেদিক থেকে এমনিতেই চাপে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক দল। তবে সবটাই তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে। অন্যদিকে শুধু হেমতাবাদের বিধায়ক নয়, বেশ কিছু বছর আগে কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসও আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন।

ফলে রাজ্যে শাসক-বিরোধী একের পর এক বিধায়ক এভাবে চলে যাওয়ায় এখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বড়সড় প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেস 10 বছর ক্ষমতায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে একটা প্রতিষ্ঠানবিরোধী হবা কাজ করছে যার ফলে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি সে দিক থেকে 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে কিছুটা হলেও চাপের। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পর এবার যেভাবে বিজেপি বিধায়ক গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রয়াত হলেন, তাতে নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়বে।

একাংশের মতে, এখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হবে যে, যেখানে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিরা সুরক্ষিত নয়, সেখানে তৃণমূল সরকার কিভাবে বাংলার মানুষকে সুরক্ষা দেবে! তাই এই সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতাচ্যুত করা উচিত বলে দাবি জানাবে বিরোধীরা। আর তার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপক্ষে জনমত তৈরি হতে পারে বলে দাবি করছে একাংশ। আর যদি তা হয়, তাহলে ঘাসফুল শিবির বড়সড় বিড়ম্বনায় করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলার পরিস্থিতি সত্যিই বর্তমানে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

মানুষ যে সুরক্ষিত নয়, তা একের পর এক বিধায়কের উপর কখনও গুলি চালনা, আবার কখনও বা ফাঁস লাগানোর ঘটনাতেই প্রমাণিত। ফলে হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক খুনের পর রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি কতটা বৃদ্ধি পায় এবং এর প্রভাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কতটা পরে, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!