এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দায়িত্ব পেয়ে তৃণমূলকে মাত দিলেও,বিজেপিতে বড়সড় হোঁচট খেলেন সৌমিত্র, উঠছে প্রশ্ন!

দায়িত্ব পেয়ে তৃণমূলকে মাত দিলেও,বিজেপিতে বড়সড় হোঁচট খেলেন সৌমিত্র, উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন তিনি কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের কিছু সময় আগে তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানা বিষয়ে মন্তব্য করে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি তারপর তাকে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় শাসকদলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য তাকে বাধা সম্মুখীন করা হলেও, শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুপুর থেকে নিজের জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন সৌমিত্র খাঁ।

প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, তৃণমূলে না থাকলেও তার ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। আর তাই তিনি আবার জয়লাভ করেছেন। আর নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু। সম্প্রতি বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হয়েছে। যেখানে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আর যুব সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজের সুর আরও চওড়া করতে শুরু করেছেন এই বিজেপি নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের যুব সংগঠনে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়েছেন। কিন্তু এবার বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বড়সড় হোচট খেলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। বস্তুত, সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ীর সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় সেখানকার বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ভক্তকুমার রায়ের। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় চাপে পড়ে গেরুয়া শিবির।

পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় পৌঁছে যান সৌমিত্রবাবু। কিন্তু বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ভক্ত কুমার রায় এবং জেলা বিজেপির সভাপতির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন সৌমিত্র খাঁ। জানা যায়, উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এই ভক্তকুমার রায়।

অর্থাৎ সৌমিত্রবাবু ময়দানে নেমে গোটা ঘটনাকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেও, যেভাবে সংগঠনের সভাপতি পদত্যাগ করলেন, তাতে রীতিমত সৌমিত্র খায়ের চেষ্টা ভেস্তে গেল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সংগঠনের এই সমস্যাকে সমাধান করতে সৌমিত্র খাঁ ব্যর্থ হলেন বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

একাংশ বলছেন, দলবদল করানো থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে এখন বিজেপিতে অত্যন্ত ভালো জায়গায় রয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে তিনি যে প্রথম পর্যায়েই কিছুটা ধাক্কা খেলেন , তা এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত।  তবে অনেকের মতে তিনি দক্ষ সংগঠক। তাই কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি এই পরিস্থিতি সামলে উঠবেন। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!