এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উলটপুরান! নজিরবিহীন! তৃণমূল নেতাদের নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বাতিল হয়ে গেল নিয়োগ প্রক্রিয়া!

উলটপুরান! নজিরবিহীন! তৃণমূল নেতাদের নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বাতিল হয়ে গেল নিয়োগ প্রক্রিয়া!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বাসা বেধেছে। পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতি অনেকটাই অস্বস্থিতে ফেলেছে। যার ফলে দলের অনেক নেতা সেই পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার দায়িত্ব যে সমস্ত নেতাদের কাঁধে রয়েছে, তাদেরকে সতর্ক করেও দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। তবে সাম্প্রতিক কালে হুগলীর চুঁচুড়া পৌরসভায় একটি নিয়োগকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে।

যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর সহ একাধিক নেতার নিকটাত্মীয়দের সেই পৌরসভায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের এই স্বজনপোষণ সামনে আসতেই রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীদের তরফ থেকে গোটা বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, এই ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি পুরমন্ত্রীকে জানানোর আশ্বাস দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই বিষয় নিয়ে যখন নানা মহলে নানা গুঞ্জন চলছে, ঠিক তখনই চুঁচুড়া পৌরসভার এই নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেওয়া হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পৌরসভায় 73 জন কর্মী নিয়োগের কথা ছিল। যার মধ্যে 64 জন গ্রুপ ডি এবং 9 জন কেরানি পদে নিয়োগ হবেন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত 12 তারিখে 54 জনের একটি নামের তালিকা প্রকাশ হয়। আর সেখানেই দেখা যায়, তৃণমূলের অনেক নেতার নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে বিদায় কাউন্সিলররা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। আর এর পরেই এই ব্যাপার নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। গোটা বিষয়টি এভাবে চলতে শুরু করলে তৃণমূলকে যে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হবে, তা ভালই আচ করতে পারেন স্থানীয় নেতারা। আর তারপরই গোটা বিষয়টি নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানান তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে চুঁচুড়া পৌরসভার নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেল। আর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, তাহলে কি সত্যিই বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল যে পৌরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দূর্নীতি হচ্ছে, সেই অভিযোগ সত্যি?

কেননা তৃণমূলের ক্ষেত্রে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বিরোধীরা সব ইস্যুতে অভিযোগ করলেও, তৃণমূল শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেনি। সেক্ষেত্রে চুঁচুড়া পৌরসভায় এই নিয়োগের পর যেভাবে পুরো দপ্তরের পক্ষ থেকে তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার উদ্যোগকে দেরিতে হলেও শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!