ড্যামেজ কন্ট্রোলে হেভিওয়েট নেত্রীকে এবার ছাঁটতে চলেছে শাসকদল রাজ্য July 5, 2018 রাজ্যবাসীর কাছে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এবার নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্তকে অপসারণ করা হলো। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সংস্কারী পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে অন্য জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অপসারিত তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ছাত্র পরিষদের নেত্রীর অপসারনের মাধ্যমে আদতে শিক্ষামন্ত্রীকেই সংযত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নয়া শিক্ষাবর্ষে কলেজগুলিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্যের ছাত্র রাজনীতি। যার প্রভাব পড়েছে রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে। রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে, ছাত্র ভর্তিতে আর্থিক লেনদেনের পরোক্ষে রাজ্যের শাসক দলের প্রশ্রয় রয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এবার সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিতে এবং শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঠিক পথের দিশা দেখানোর পাশাপাশি প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে তৎপর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশকে দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ছাত্র ভর্তির নাম কোনো রকম আর্থিক লেনদেন থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রী কী তবে আর্থিক লেনদেন কান্ডে ছাত্র পরিষদ নেত্রীর পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে সে বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন ! শুধুমাত্র শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি ব্যক্তিগত আনুগত্যের কারণেই এতদিন নিজের জায়গা বজায় রাখতে পেরেছিলেন জয়া দত্ত। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অবগত হওয়ার পরেই পদ খোয়াতে হলো তাঁকে ! মুখ্যমন্তীর এই পদক্ষেপ ছাত্র রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষ । আপনার মতামত জানান -