এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এবার মারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না হেভিওয়েট শীর্ষ নেতারাও!

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এবার মারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না হেভিওয়েট শীর্ষ নেতারাও!

 

2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দলীয় স্তরে তাঁদের গোষ্ঠী কোন্দলই প্রধান কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে বারবার বিভিন্ন মহলে তরফে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের কথা পৌঁছে গেলেও, তা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু দলীয় সৃতরে লাগাম না টানলে ফল যে ভয়ানক হতে পারে, তা এবার তৃণমূলের এই কোন্দলেই প্রমাণিত হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, শনিবার তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরনগর এলাকা। জানা যায়, এদিন সকালে বীরনগর পৌরসভায় তৃণমূলের চেয়ারম্যান পার্থকুমার চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে 5 নম্বর ওয়ার্ডের একটি শিশু উদ্যানের কাজ খতিয়ে দেখতে যান। আর সেই সময়ই গোবিন্দ পোদ্দার এবং তার কিছু অনুগামী সেই চেয়ারম্যান সহ বেশ কয়েকজনের ওপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

পাল্টা ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ পোদ্দার এবং তার অনুগামীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। আর চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব এবং হাতাহাতিতে এখন প্রবল অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান পার্থ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, শিশু উদ্যানের কাজ কেন বন্ধ করে দেওয়া হল! আমরা সেই কাজ দেখতে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন হামলা চালায়। আমি ছাড়াও আমার মহিলা কাউন্সিলর আরতী হালদারকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কাউন্সিলর শরদিন্দু দেবনাথ আহত হন।

তিনি আরো বলেন, “ওরা আমার ডান হাতে ও পায়ে আঘাত করেছে। ইটবৃষ্টি করেছিল। আমার দেহরক্ষী ছিল বলে আমি বেঁচে গিয়েছি। আমাদের 31 জন জখম হয়েছে। গোটা বিষয়ে আমরা তাহেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ককে বিষয়টা জানাব। আমার বিশ্বাস ছিল, আমি যেখানে থাকব সেখানে কোনো ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু আমার বিশ্বাসটা ভেঙে গেল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন এই পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা গোবিন্দ পোদ্দার। এদিন তিনি বলেন, “5 নম্বর ওয়ার্ডের শিশু উদ্যানে গত বছরই কাজ হয়েছে। সেটার প্রাচীর ভেঙে যাওয়ায় চক্ষু লজ্জা বিসর্জন দিয়ে ফের কাজ শুরু করেছিলেন। আর তাতে সাধারণ মানুষ বাধা দিয়েছেন।”

 

তিনি আরো বলেন, “এদিন সকালে চেয়ারম্যান কিছু লোকজন নিয়ে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা তখন খবর পেয়ে সেখানে যাই। আমাদের দেখামাত্রই ওরা ইটবৃষ্টি শুরু করে। চেয়ারম্যান নিজে আমাদের দিকে ইট ছুড়ে মেরেছেন। আমাদের প্রায় 42 জন আহত হয়েছেন। এভাবে চলতে পারে না। আমরা গোটা বিষয়টি বীরনগর শহর তৃনমূলের সভাপতিকে জানিয়েছি।”

এদিকে পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের এই দ্বন্দ্বে যে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শংকর সিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তা মিটে যাবে।” তবে শঙ্করবাবু যাই বলুন না কেন, যেভাবে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল, তাতে আগামী দিনে পৌরসভা এবং তৃণমূল কংগ্রেস দল কতটা সুশৃংখলভাবে চলে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!