এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠিকন্দলের জেরে অশান্ত সবং

গোষ্ঠিকন্দলের জেরে অশান্ত সবং

বিধানসভা উপনির্বাচনের পর শাসকদলের জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আদি-নব্য তৃনমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,বিধানসভা উপনির্বাচনের পরে এক পার্টি অফিস ঘিরে আগেই ঝামেলা বাধে দুই গোষ্ঠীর। পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই পার্টি অফিস বন্ধই ছিল । তা আবার শনিবার সন্ধ্যায় ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ অমূল্য মাইতি তা খোলার ব্যবস্থা করেন। অভিযোগ এরপরই কয়েকজন তৃনমূলেরই কর্মী চড়াও হয়। ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তৃনমূলের দুই কর্মী গুরুতরভাবে জখম হয় । একজনকে আশঙ্কা জনক পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত সবং। যদিও শাসকদলের একাংশের তরফে আদি-নব্য কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। আরেক অংশ আবার কার্যত স্বীকার করেছেন এই ঘটনা। যা থেকে সবং বিধানসভা কেন্দ্রে গোষ্ঠীদ্বন্দের প্রকাশ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এই ঘটনার পর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এখন আয়ত্তে। সংঘর্ষ ঘটেছে একটা। দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও তৃনমূলের আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ , এই কাজ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ গৌর বেরার অনুগামীরা।
আদি তৃনমূল নেতা অমূল্যবাবু বলেন, ওই অফিসটি ১৯বছর ধরে চলছে । নির্বাচনের পর ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা আবার খোলা হয় । আমরা চলে আসার পর আবার হামলা চালানো হয় । ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়টি আমি রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি,পরিবহিনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে জানিয়েছি। যদিও গৌরবাবু এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, এইরকম কোনো ঘটনায় ঘটেনি। যা ঘটেছে তার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। ওটা তৃনমূলের অফিস ছিল না। ওখান থেকে কয়েকজন তৃনমূলের নাম করে চাকরি করে দেবে বলে অনেকের কাছে টাকা নিয়েছিল। তারাই এইসব করেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পান্ডা বলেন, এটা আদি নব্যর কোনো বিরোধ নয়। আসলে অমূল্যবাবুদের ভুল পদক্ষেপ এর জন্য এইসব ঘটছে। আমার কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। আমি তো নেতা নই। দলীয় নেতৃত্ব দেখবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!