এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তবে কি এবার দূরত্ব বাড়ছে নেত্রীর সাথে এই হেভিওয়েট বিধায়কের, জল্পনা তুঙ্গে

তবে কি এবার দূরত্ব বাড়ছে নেত্রীর সাথে এই হেভিওয়েট বিধায়কের, জল্পনা তুঙ্গে

মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পর সেখানকার গোষ্ঠী কোন্দল কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু এবার কার্যালয় উদ্বোধন করতে এসে তৃণমূল সাংসদ বনাম বিধায়কের কোন্দল রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষ্ণনগরে। সূত্রের খবর, এবার দলের কার্যালয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের হাত ধরে উদ্বোধন হলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে। যাকে কেন্দ্র করে এখন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মনে আশঙ্কা ঘনীভূত হতে শুরু করেছে যে, এবার লড়াইটা জেলা সভাপতি তথা সাংসদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 8 ফেব্রুয়ারি চাপড়ায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে যান জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু দলের কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য মহুয়াদেবী সেখানে গেলেও সেই কার্যালয় যাতে উদ্বোধন করা না হয়, তার জন্য তাকে প্রবল আপত্তি জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজিব শেখ সহ বিধায়ক রুকবানুর রহমানের ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। এদিকে বিধায়ক অনুগামীদের বাধার মুখে পড়ে রীতিমতো পিছু হটতে বাধ্য হন মহুয়া মৈত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরেই মহুয়াদেবী কার্যত চাপে পড়ে জানান যে, আগামী 27 ফেব্রুয়ারি এই কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে। তবে পাল্টা জেবের শেখের অনুগামীরা দাবি করেন, সেদিনই দলের কার্যালয় উদ্বোধন করতে হবে। তবে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং তার অনুগামীরা কার্যালয় উদ্বোধনের ব্যাপারে বাধা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে চলে আসতে হয় মহুয়া মৈত্রকে। তবে গত বৃহস্পতিবার ফের সেই কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় তৃণমূলের বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে। যা নিয়ে এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

কেন তিনি দলের কার্যালয়ে উদ্বোধন উপস্থিত হলেন না! যেখানে সাংসদ তথা জেলা সভাপতির কার্যালয় উদ্বোধন করছেন, সেখানে তাঁর অনুপস্থিতি কি দলের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে না! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “কে কোথায় বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন, কোথায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করছেন, তা আমি জানি না। আমাকে জানানো হয়নি। দিন কয়েক আগে একজন শুধু ছোট্ট এসএমএস করে জানিয়েছিল এই কর্মসূচির কথা। আমি এলাকার বিধায়ক শুধু না, দলের চেয়ারম্যান। আমাকে একটা ফোন পর্যন্ত করা হয়নি। কি করে সেই কর্মসূচিতে যাই বলতে পারেন! তাছাড়া শরীরটাও আমার ভালো নয়।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেবের শেখ বলেন, “কী কারণে উনি আসেননি, বা এসেছেন, সেটা আপনারাই বলতে পারবেন। তবে আমরা সবাইকেই জানিয়েছিলাম। আমরা চাই সকলে মিলে একসঙ্গে দল করতে।” তবে দলের বিধায়কের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের অনুপস্থিতিতে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সাংসদ মহুয়া মৈত্রের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করবার জন্য বার্তা দিলেও, এবার কৃষ্ণনগরের মতো জায়গায় বিধায়ক বনাম সাংসদের কোন্দল তৈরি হল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে গড়ায়, মহুয়া মৈত্র আদৌ বিধায়কের সঙ্গে বনিবনা তৈরি করতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!