এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে দিলীপ, চরম অস্বস্তিতে বিজেপি!

দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে দিলীপ, চরম অস্বস্তিতে বিজেপি!

 

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টা আসন দখল করেছিল। কিন্তু দলের যে সমস্ত নেতাকর্মী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে দলের স্বপক্ষে জয় এনে দিয়েছিলেন, লোকসভায় কিছুটা শক্তি পেয়েই সেই সমস্ত কর্মীদের দল আর গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে বিজেপির অন্দরে অভিযোগ উঠেছিল।

শুধু তাই নয়, মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে একাধিক জায়গাতেই দলীয় কর্মী অপেক্ষা অন্য দল থেকে আশা কর্মীদের পদ দেওয়া নিয়ে বিজেপিতে তৈরি হয়েছিল গোষ্ঠী কোন্দল। তবে বরাবরই এই গোষ্ঠী কোন্দল সাময়িক বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আর তাই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এবার ঠেলা বুঝতে পারলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর 1 টার সময় নদীয়ার রানাঘাট নজরুল মঞ্চে সাতটি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে একটি কর্মশালা হয়। যার মূল বিষয় ছিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে মানুষের কাছে সত্য তথ্য তুলে ধরা। আর এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম-সম্পাদক শিবপ্রকাশ সহ স্থানীয় নেতা নেত্রীরা। কিন্তু সেখানেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত অস্বস্তিতে পড়তে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। জানা যায়, এদিন সভা শুরু হওয়ার কিছু পরেই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন বিজেপির কিছু নেতাকর্মীরা।

 

এক যুবক চিৎকার করে বলেন, “বোনের বিয়ের আগের রাতে পুলিশ আমায় ধরে নিয়ে যায়। দলের কেউ এসে পাশে দাঁড়ায়নি। যার গাড়ি চালাই, সেই মালিক 15000 টাকা দিয়ে আমায় জামিনে ছাড়িয়ে আনেন। এসব সত্ত্বেও দলের কাজ করে চলেছি।” এদিকে এই ব্যাপারে আরেক যুবক বলেন, “জীবন বাজি রেখে মাজদিয়া কলেজ দখল করেছিলাম। যাদের দল আজ গুরুত্ব দিচ্ছে, তারা সেদিন কোথায় ছিল! আমরা জনাদশেক ছেলে হাত তুলে নিলে কলেজ দখলে রাখা সম্ভব হবে না। কোনো নেতা কিছু করতে পারবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অন্যদিকে আরেক যুবক দল করায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা ঝুলছে। তাও দল কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক ছেলের বিরুদ্ধে দু- তিনটে করে মামলা ঝুলছে। বেশিরভাগই গরিব। কোনরকমে দিন কাটে। তাদের কারও পক্ষে মোটা টাকা দিয়ে জামিন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেই সব কর্মীদের দল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

একাংশ বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সামনেই কিছু যুবক দলের বিরুদ্ধে এরূপ মন্তব্য করায় নিঃসন্দেহে বিজেপির চাপ বাড়ল। তবে এই সমস্ত যুবকদের এসব মন্তব্য করার পেছনে দলের মন্ডল সভাপতি নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই ঘটল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। যদিও বা পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চ ছেড়ে সেই সমস্ত যুবকের সাথে কথা বলতে দেখা যায় বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মন্ডল সভাপতি পরিবর্তন সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। তবুও কয়েকজনের এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। দলের নেতৃত্ব প্রয়োজনে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসবে।” অন্যদিকে তার সামনে এইভাবে দলের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি বলেন, “মন্ডল সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো গন্ডগোল নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু কবে ঠিক হবে! যেভাবে তার সামনে দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন, তাতে বিজেপি যে বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন দেখছে, তার জন্য তো আগে দলের শৃঙ্খলা প্রয়োজন। ফলে সেই শৃঙ্খলা কবে ফিরবে! এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!