এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > মনোনয়ন প্রত্যাহারে পুরস্কার আর নাহলে ‘অন্য’ সবকিছু, বিতর্কিত ‘দাওয়ায়’ তৃণমূল শীর্ষ নেতার

মনোনয়ন প্রত্যাহারে পুরস্কার আর নাহলে ‘অন্য’ সবকিছু, বিতর্কিত ‘দাওয়ায়’ তৃণমূল শীর্ষ নেতার

বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে একদিকে যখন সমগ্র বিরোধীপক্ষ সমস্বরে জানাচ্ছে শাসকদলের ‘লাগামহীন’ সন্ত্রাসে বেশিরভাগ আসনেই তাঁদের দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তখন অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ব্যতিব্যস্ত ‘গোঁজ’ প্রার্থী নিয়ে। তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই বহু আসনেই ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূলীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দলীয় সূত্রে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, দল যাঁদের প্রতীক দিয়েছে তাঁরাই নির্বাচনে লড়বেন, বাকিদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, দলীয় প্রতীক না পেলেও বহু জায়গাতেই ‘নির্দল’ প্রার্থী হিসাবে লড়ার কথা ভাবছেন এই সব বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা। ফলে সেইসব জায়গাতে ভোট কাটাকাটিতে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যেতে পারে বিরোধীরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দিলেন, মনোনয়ন তুলে নিলেই মিলবে পুরস্কার, প্রার্থী থাকলে পুরস্কার নেই। বদলে অন্য অন্য যা আছে সব হবে। আমাদের দলের বিভিন্ন জায়গায় যারা কিছু বিক্ষুব্ধ প্রার্থী ছিলেন তারা সবাই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাঁদের আমরা সাংগঠনিক দায়িত্ব দিচ্ছি। তৃণমূল সূত্রের দাবি সৌরভবাবুর এই হুঁশিয়ারির পর গত দুদিনে জেলায় প্রায় ৩০০ মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। অন্যদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করছেন। কিন্তু এরফলে স্থানীয় মানুষ ক্রমশ উত্তেজিত হয়ে পড়ছে, যার দায় সামগ্রিকভাবে প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌরভবাবু বলেন, বিজেপি দলটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, দলের নেতারা সব নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। ভোটের সময় পর্যন্ত তারা নিরুদ্দেশ থাকবে। এখানে গুন্ডামি, মস্তানি, দাদাগিরি করলেই সাধারণ মানুষ তার জবাব দেবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!