এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নেত্রীর কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ কি কাল হল, দল ছাড়ার হুমকি নেতাদের

নেত্রীর কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ কি কাল হল, দল ছাড়ার হুমকি নেতাদের


লোকসভা ভোটে তৃনমূলের ভরাডুবির পেছনে দুর্নীতিই প্রধান কারণ বলে ফলাফল পর্যালোচনার বৈঠকে উঠে এসেছিল। আর তা উপলব্ধি করতে পেরেই গত 18 ই জুন নজরুল মঞ্চে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে এই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করে দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, “কেউ কাটমানি খেলে তা সাধারণ মানুষকে যেন অবিলম্বে ফেরত দেওয়া হয়। এইসব ঘটনা কোনোমতেই বরদাস্ত করা হবে না।”

আর এরপরই দিকে দিকে সেই কাটমানি খাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর এবার দলের অন্দর থেকেই কাটমানি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় আলিপুরদুয়ার পৌরসভার তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরদের একাংশ দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।

প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পরই দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি, তোলাবাজি এবং পুকুর বোঝানোর কাজে জড়িত থাকার ব্যাপারে অভিযোগ করতে দেখা যায় রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি জহর মজুমদারকে। যে ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার দলের কিছু কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। আর এমতাবস্তায় গত সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিজেদের মধ্যেই একটি বৈঠকে বসেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভা তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলররা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই জহর মজুমদারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তারা বলেন, “জহরবাবু আমাদের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন। এই অবস্থায় আমাদের অনেকেই জহর মজুমদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।” আর কাটমানির বিরুদ্ধে দলের নেতা সরব হওয়াতেই কাউন্সিলরদের একাংশ দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় এখন তীব্র বিপাকে পড়েছে শাসক দল। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাউন্সিলররা যাতে দল না ছাড়েন, তার জন্য এবার মাঠে নামতে হল জেলা তৃনমূল নেতৃত্বকে।

সূত্রের খবর, এদিন জহর মজুমদারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের একাংশ নেতা অভিযোগ করেন। একইভাবে এই প্রসঙ্গে টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কোনো কাউন্সিলর দল ছাড়ার কথা বলেননি। একটি তথ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে জহর মজুমদারের বাড়ির কাজের লোক পা দিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা বোমা নর্দমায় ফেলেছেন। নিজের দিকে সহানুভূতি টানতেই ওনার এই বোমার নাটক কিনা, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”

এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা জহর মজুমদার বলেন, “বোমা নিয়ে আসলে কি হয়েছে তা পুলিশি তদন্তেই প্রমাণ হয়ে যাবে। আর আমি এখনও তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি। আর সেটা দলের সবাই খুব ভালোভাবেই জানে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জহর মজুমদার দলের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললে সেই কাউন্সিলরদের একাংশই এদিন জহরবাবুর বিরুদ্ধে সরব হয়ে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আর তাতেই সেই কাউন্সিলরদের পক্ষ নিয়ে জহর মজুমদারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে। সব মিলিয়ে কাটমানি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির জেরে তৃণমূলের অন্দরেই যে বড়সড় ফাটল ধরতে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!