এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার এক মন্ত্রীর সামনেই আর এক মন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারকে দুষলেন তৃণমূল নেতারা

এবার এক মন্ত্রীর সামনেই আর এক মন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারকে দুষলেন তৃণমূল নেতারা

বিভিন্ন জেলার সরকারি গ্রন্থাগারগুলির সঠিক পরিচর্যার অভাবে পরিকাঠামো সহ পুস্তকগুলিও এখন পোকাদের খাদ্যে পরিণত হয়েছে।রবিবার বর্ধমান টাউন হলে সংগঠনের সপ্তম বার্ষিক রাজ্য সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনার সময় রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় দোষারোপ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ওয়েষ্ট বেঙ্গল স্টুডেণ্টস্ অফ লাইব্রেরী সায়েন্স অর্গানাইজেশনের নেতৃত্ববৃন্দ।

এদিনের অনুষ্ঠানে.রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সামনে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রন্থাগার আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একদম প্রথম দিকে ছিল। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে।’’তিনি আক্ষেপের সাথে জানান,গ্রন্থাগারের বিজ্ঞানের বই পড়বার সময় তার স্বপ্ন ছিল চাকুরী পাবার পর গ্রন্থাগারের রূপের পরিবর্তন তিনি ঘটাবেন।কিন্তু দিন দিন তার সেই স্বপ্ন বেরঙিন হয়ে পড়ছে।তিনি আরও বলেন,সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রন্থগার মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বারংবার আর্জি জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।এদিন পার্থবাবুর সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোমালোচনায় মুখর হন রাজ্য সহ-সভাপতি রাধাকান্ত মণ্ডল৷তার অভিযোগ, ‘‘গোটা রাজ্যে প্রায় ৬০০টি গ্রন্থাগার বন্ধ। ৩০০০টিরও বেশি শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগের ব্যাপারে কোনও সঠিক ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি৷ বিভিন্ন পত্রিকায় গ্রন্থাগারমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে ফলপ্রসূ হয়নি।’’এমনকি সংগঠনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে লেখা হয়েছে-‘বর্তমান গ্রন্থাগারমন্ত্রী শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রতিশ্রুতিই দিয়ে চলেছেন। বাস্তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।’’

সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট গুঞ্জন শুরু হয়েছে।দলের অন্তরেও অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।বিষয়ে নিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন,সংগঠন শাসক সরকারের কোনো সমালোচনা করেনি তারা কেবল তাদের কিছু দাবি জানিয়েছে।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এই বিষয়ে পূর্বতন শাসক সিপিএমকে দুষে বললেন,‘‘বাম আমলে সরকারি ও সরকার পোষিত গ্রন্থাগারগুলিতে কেবলমাত্র সিপিএমের লোকাল কমিটির নেতা, জোনাল কমিটির নেতারা নিজেদের দলীয় বৈঠক করতেন। পাঠক বাড়াতে পারেনি। কিন্তু এখন পাঠক বেড়েছে।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!